নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতের কাছে সব কিছু পেয়েও অনেক পড়ুয়া রয়েছে যাদের পড়াশোনা হয় না। আবার অনেক পড়ুয়ারা রয়েছে যারা কিছু না পেয়ে পড়াশুনো হোক অথবা অন্য কোনো ক্ষেত্রে এমন এমন নজির তৈরি করে যা কখনো ভোলার নয়। ঠিক সেই রকমই করার অদম্য ইচ্ছে দেখা গেল এক পড়ুয়ার মধ্যে। সেই পড়ুয়ার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর এই ভিডিও দেখে কোনভাবেই তাকে কুর্নিশ না জানিয়ে থাকা যায় না।
দিন দিন শিক্ষার মান নিয়ে যখন চারদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই সময় শিক্ষার গুরুত্ব কতটা তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল বিহারের জামুই জেলার ১০ বছরের এই বালিকা। তার একটি পা নেই। আর এই এক পা না থাকা অবস্থাতেই প্রতিদিন এক কিলোমিটার দূরে থাকা স্কুলে এসে লাফিয়ে লাফিয়ে যায়। শুধু নিজে পড়াশোনা করে এমনটা নয়, এর পাশাপাশি বাড়ি ফিরে ভাই-বোনেদেরও পড়ায়।
এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়া ওই ১০ বছরের পড়ুয়ার নাম সিমা। দু’বছর আগে এই ক্ষুদে পড়ুয়া একটি দুর্ঘটনায় তার একটি পা হারায়। কিন্তু তার পরেও তার মনোবল এবং অদম্য ইচ্ছা শেষ হয়ে যায়নি। অদম্য ইচ্ছে আর সাহসকে অবলম্বন করে সে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যায়। সিমার পড়াশুনার প্রতি এই অদম্য ইচ্ছাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরাও।
সিমার পড়াশুনার প্রতি এই অদম্য ইচ্ছা এবং তার সাহস এখন এলাকায় আইকন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার স্কুলে আসার এমন চেষ্টা এলাকার অন্যান্য পড়ুয়াদেরও স্কুলে আসতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। মাও অধ্যুষিত এই এলাকায় পড়াশোনার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ খুব একটা নেই বললেই চলে। সেই জায়গায় সিমা এখন আইকন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
10 साल की सीमा के जज़्बे ने मुझे भावुक कर दिया। देश का हर बच्चा अच्छी शिक्षा चाहता है। मैं राजनीति नहीं जानता, इतना जानता हूँ कि हर सरकार के पास पर्याप्त संसाधन हैं।
सीमा जैसे हर बच्चे को अच्छी से अच्छी शिक्षा देना ही हर सच्चे देशभक्त का मिशन होना चाहिए, यही सच्ची देशभक्ति है। https://t.co/XI5stbpgSN
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) May 25, 2022
একটি সংবাদ মাধ্যমের আপলোড করা ভিডিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শেয়ার করে লিখেছেন, “১০ বছরের বালিকার এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আমাকে আবেগপ্রবণ করে দিল। দেশের প্রত্যেক শিশুর উপযুক্ত শিক্ষার দাবিদার। আমি রাজনীতি বুঝি না, শুধু এটুকু জানি যে প্রত্যেক সরকারের কাছে এই কাজের জন্য যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে। সীমার মতো প্রত্যেক শিশুকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া সত্যিকারের দেশভক্তের কর্তব্য হওয়া উচিত, এটাই আসল দেশভক্তি।”