শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো, ‘স্ট্যাচু অফ ইক্যুয়ালিটি’ (Statue of Equality) এবং দিব্য সাকেতম। তবে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। জনসাধারণের প্রবেশের জন্য দুপুর ৩ টে থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকবে এই স্থান। প্রবেশের জন্য অতি নূন্যতম ফিজ ধার্য করা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।
ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিছু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে 3D ম্যাপিং শো বন্ধ রাখা হয়েছে। রামানুচার্যের সোনার মূর্তিও দর্শনার্থীরা দেখার সুযোগ পাবেননা। স্ট্যাচু অফ ইক্যুয়ালিটি’ ক্যাম্পাসে শ্রী রামানুচার্যের সোনার মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ১৩ ফেব্রুয়ারি। শ্রী রামানুচার্যের সহস্রাদি বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ ফেব্রুয়ারি এই ২১৬ ফুট উচ্চতার স্ট্যাচু অফ ইক্যুয়ালিটি এর উদ্বোধনে হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি যজ্ঞানুস্থানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই স্ট্যাচু তৈরি পেছনে একটি কাহিনী রয়েছে।
২১৬ ফুটের এই বিশালাকার মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল মূলত একাদশ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক সন্ত রামানুচার্যের ১০০৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্যেশ্যে। হায়দ্রাবাদের কাছে সামশাবাদে ৪৫ একর জমির ওপর নির্মিত এটি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম মূর্তি।
সন্ত রামানুচার্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১০১৭ সালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে। ২০১৭ সালে তাঁর জন্মের এক হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়েছিল। তিনি সমাজের মানুষের জীবনযাত্রাকে বোঝার জন্য সারা ভারত পরিভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর ভক্তরা তাঁকে ভগবান আদিশার অবতার রূপে মানতেন।
তিনি বিশিষ্ট দ্বৈত চিন্তাধারার প্রসার ঘটিয়েছিলেন এবং তাঁর কৃপাতেই সকলে অষ্টাক্ষরী মন্ত্র “ওম নমো নারায়ণ”-র সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছিল। ঈশ্বর প্রাপ্তির শ্রেষ্ঠ পথ হলো, সাম্য, স্নেহ এবং ভক্তির মার্গ।
সারা বিশ্বে এই স্ট্যাচু অফ ইকুয়্যালিটি আধ্যাত্মিকতা, সমতা, সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব নিয়ে একটি বিশেষ বার্তা প্রেরণ করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ২১৬ ফুট লম্বা রামানুজের মূর্তি, এবং ১০৮ টি মন্দির, দুই ক্ষেত্রেই সংখ্যাগুলির যোগফল হয় ৯। ৯ সংখ্যাটিকে অত্যন্ত শুভ বলে গণ্য করে সবক্ষেত্রেই সেই হিসেব মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে।