রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে কড়া লকডাউনের জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। আর এই সংক্রমণ বাড়ছে মূলত নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকা বা জায়গাকে কেন্দ্র করেই। যে কারণে সেই সকল এলাকা বা জায়গায় নতুন করে কড়া লকডাউনের জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে কলকাতার বেশ কিছু অতিসংক্রামিত এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তবে শুধু কলকাতা নয় পাশাপাশি রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যেহেতু এখনো পর্যন্ত কোনো রকম প্রতিষেধক অথবা ওষুধ হাতে আসেনি তাই সংক্রমণ থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে লকডাউনই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও।

কলকাতা : নবান্ন সূত্রে যেটুকু জানা গিয়েছে তাতে কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তাকে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হচ্ছে। এই সকল রাস্তা বা জায়গার মধ্যে রয়েছে ৭, ১৩, ৩১, ৭৪, ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি করে রাস্তা। পাশাপাশি ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ড এবং দেশপ্রিয় পার্ক লাগোয়া ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড এর তিনটি রাস্তা পুরোপুরি সিল করার জন্য বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতার ১, ৩, ৮, ৯ ও ১০ ওয়ার্ডে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। যে কারণে এই জায়গাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন থানার ওসিদের করোনা হৎস্পট জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা : উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতও কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে বলেই ইতিমধ্যেই খবর এসে পৌঁছেছে। জেলার পুলিশ প্রশাসন মঙ্গলবার থেকে চায়ের দোকান, খাবারের স্টল ইত্যাদি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই জেলার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে যে পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে ১৪ দিনের জন্য বাজার, গণপরিবহণ, ধর্মীয় স্থান বন্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস-কারখানা চালানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বারাসাত ছাড়াও বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, বসিরহাট পুরসভাতেও করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন।

মালদা : মালদা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদা এবং কালিয়াচকের তিনটি এলাকায় বুধবার থেকে ৭ দিনের জন্য কড়া লকডাউন জারি হতে চলেছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বুধবার দুপুর দুটো পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনাবেচা চললেও দুটোর পর থেকে সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকবে। এমনকি বাড়ির বাইরে বার হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে এখনো পর্যন্ত কড়া লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানা না গেলেও এখানে ৪৬, ২৮, ১৮ নম্বরে উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা এই সকল বেশকিছু এলাকায় কড়া লকডাউনের দাবি করেছেন। তবে সাংসদ ছাড়াও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ কড়া লকডাউনের পক্ষে। এর আগে শিলিগুড়িতে শিলিগুড়ির বাজার ও চম্পাসারি বাজার ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।