করোনা সংক্রমণে আপাতত স্বস্তি মিলেছে যেসকল জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরোত্তর রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার। ৬ই জুলাই সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে যে করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে ৮৬১ জন নতুন করে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। আর এর পরেই সংক্রমণের মোট সংখ্যাটা রাজ্যে পৌঁছে গেছে ২২৯৮৭ তে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭৯। পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫২৪ জন। যার পরে রাজ্যের মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫২৩৫। অর্থাৎ বর্তমানে রাজ্যে মোট করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬৯৭৩। আর এইভাবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চিন্তা বাড়ছে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের বাসিন্দাদের।

রাজ্যে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও লক্ষণীয় বিষয় এটাই যে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলা এবং নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায়। যে কারণে ইতিমধ্যেই ঐসকল জেলাগুলিতে ও জায়গাগুলিতে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এসবের মাঝেই স্বস্তি এটাই যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ থাকলেও ইতিমধ্যেই সংক্রমণের সংখ্যাটা অনেক কমেছে অন্যান্য দিনের তুলনায়।

পশ্চিমবঙ্গের যে সকল জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমেছে সেগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী লক্ষ্য করা গেছে এই সকল জেলাগুলিতে সংক্রমণ বাড়লেও তা বাড়ছে খুব ধীর গতিতে। গত ২৪ ঘন্টা রিপোর্ট অনুযায়ী এই জেলাগুলিতে সংক্রমণ বেড়েছে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টাই নয় বেশ কয়েকদিনের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলেও দেখা যাবে একটা সময় যখন এই জেলাগুলিতে উত্তরোত্তর বাড়ছিলো সংক্রমণ সেই জায়গায় বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে তাহলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার। যে কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে।

আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া জেলাগুলি হল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মালদা, দার্জিলিং। এই কয়েকটি জেলাতেই গত কয়েকদিন ধরে দেখা গেছে প্রতিদিন মোট সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৭০০-এর বেশি, কখনো আবার ৮০০-র কাছাকাছি। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাতেও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।