নিজস্ব প্রতিবেদন : আগস্ট মাস ধরে দেশজুড়ে আনলক পর্যায়ের তৃতীয় ধাপ চলাকালীন সেপ্টেম্বর মাস শুরু হওয়ার আগেই শনিবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আনলক পর্যায়ের চতুর্থ ধাপ অর্থাৎ আনলক ৪ ঘোষণা করা হয়। আনলক ৪ পর্যায় চলবে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত।
আনলক ৪ পর্যায়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে সকল বিষয়গুলির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল মেট্রো পরিষেবা, উচ্চ শ্রেণীর পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে স্কুলে আসার অনুমোদন, সামাজিক, শিক্ষামূলক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিনোদনমূলক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশেষ ছাড় ইত্যাদি। অর্থাৎ দেশকে ছন্দে ফেরাতে চতুর্থ আনলক পর্যায়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। আর কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা এই গাইডলাইন ঘিরেই একটি জল্পনার সূত্রপাত হয়েছে। যে জল্পনাটি হল সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের পূর্ণ লকডাউন নিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমাতে গত জুলাই মাস থেকে সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন জারি করার ঘোষণা করে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় একই রকম লকডাউন আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাদের রাজ্যে জারি করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন এই নির্দেশিকায় কেন্দ্র সরকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্র সরকারের সাথে আলোচনা না করে কোন রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাদের রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়া আলাদা করে কোনো রকম লকডাউন জারি করতে পারবে না। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে (৭, ১১ ও ১২) পশ্চিমবঙ্গে যে তিনটি পূর্ণ লকডাউনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়েই কেন্দ্রের ঘোষণায় শুরু হয়েছে জল্পনা ও ধন্দ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই আইএএস অফিসার অজয় ভল্লা প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের একটি চিঠি দেন। যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া হয়, কোন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে আলাদা করে স্থানীয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। পাশাপাশি এটাও বলা হয় যে কোন রাজ্যের কোন জেলা, শহর অথবা গ্রামও কনটেইনমেন্ট জোন এলাকা ব্যতীত বাকি জায়গায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না। তবে স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণা করা যেতে পারে কিন্তু তার আগে অবশ্যই কেন্দ্র সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
আর এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে লকডাউন হবে না? যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনই কোনরকম বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের বিবৃতির পর এই এই জল্পনার অবসান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।