Want to spend a quiet weekend, come to Siliguri Tea Tourism in the midst of hills, rivers and forests: আপনি কি পাহাড় নদী জঙ্গলের মাঝে রাত কাটাতে ইচ্ছুক? তাহলে আর এই সুযোগ মিস করবেন না। শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র দেড় ঘন্টার দূরত্বেই রয়েছে এরকমই একটি অফবিট ভ্রমণ স্থান (Offbeat tourist spot)। জায়গাটির নাম হলো লোহাগড়। এখানে এসে যদি টুকুরিয়াঝাড় এলাকার গা ছমছমে বন্য পরিবেশে হোম-স্টেতে রাত কাটানোর সুযোগ পান এসুযোগ হাতছাড়া করবেন না। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এই চিন্তা করেই ওই দুটি এলাকা টি-টুরিজমের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
আপনি এখানে এসে উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়, নদী, এবং জঙ্গলে ঘেরা এক অবর্ণনীয় প্রাকৃতিক পরিবেশের। ভ্রমণপিপাসুরা প্রায়ই এক চিলতে রোদে দাড়িয়ে চা বাগানের দৃশ্য চাক্ষুষ করতে চান। আর উপৃ হিসাবে যদি পাওয়া যায় পাহাড়, নদী এবং জঙ্গল তাহলে তো আনন্দের মাত্রাটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই লোহাগড় ও টুকুরিয়াঝাড় দুটি এলাকাই রয়েছে নকশালবাড়ি ব্লকে। এই জায়গাটি ইতিমধ্যেই ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অফবিট টুরিস্ট স্পট (Offbeat tourist spot) হিসাবে।
মহকুমা পরিষদের উদ্যোগে এবার এই দুটি এলাকায় গড়ে উঠতে চলেছে টি-টুরিজম। পর্যটন উন্নয়ন পরোক্ষ লক্ষ্য হলেও, এটির পিছনে প্রত্যক্ষ লক্ষ্য হলো মহকুমা পরিষদের আয় বাড়ানো। পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় এই লোহাগড় ও টুকুরিয়াঝাড়ের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার চা বাগানে তৈরি হতে চলেছে টি টুরিজম। মহকুমা পরিষদ চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। এখানে চা বাগানের মধ্যে রাত্রিবাস করার জন্য তৈরি করা হবে হোম-স্টে তার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু করার চিন্তাভাবনা চলছে। কর্তৃপক্ষ পর্যটন দপ্তরের সাথে আলোচনা করে বিষয়টা অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কিন্তু টুকুরিয়াঝাড় বনাঞ্চলের বন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জঙ্গলে হোম-স্টে তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি এখনো পর্যন্ত।
তবে পর্যটন দপ্তরের থেকে সবুজ সংকেত এলেই সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের তরফ থেকে। তার কথায়, এই পদে আসার পর থেকেই তিনি ওই দুই এলাকার পর্যটন উন্নয়নের কাজ শুরু করেছেন। এই বছর তিনি সেখানে টি ট্যুরিজম-এর কাজ শেষ করতে চান। তিনি আরো বলেছেন এই বিষয়ে তিনি জিটিএ চিফ অনিত থাপার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। লোহাগড় থেকে মিরিক যাওয়ার একটি কাঁচা রাস্তার পরবর্তী একটি নতুন রাস্তা খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছেন তিনি আগামীদিনে যাতে করে আরো বেশি মানুষ এখানে ঘুরতে আসতে পারেন।
অনেক সুযোগ রয়েছে এই এলাকায় পর্যটন উন্নয়নের। প্রত্যেক বছর এখানে হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসেন। তবে রাত্রিবাস করার ইচ্ছা থাকলেও সেটা পূরণ করতে পারেন না এখানে সেরকম কোনো ব্যবস্থা ন থাকার কারণে। এখন সাইকেল ট্রেকিং খুব প্রচলন হয়েছে মিরিক থেকে পুটুং হয়ে লোহাগড়ে যাওয়ার পথে। অনেক মানুষ প্রত্যেক বছর টুকুরিয়াঝাড় সংলগ্ন এলাকায় বনভোজন করতে আসেন। তাই এই সব চিন্তা করেই এই দুটি অফবিট টুরিস্ট স্পটে (Offbeat tourist spot) পর্যটন উন্নয়ন করার কথা ভাবছেন মহকুমা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।