নিজস্ব প্রতিবেদন : টলি অভিনেতা অভিনেত্রীরা নজর কেড়ে থাকেন তাদের অভিনয়ে। তবে ইদানিং কালে তারা আবার রাজনীতির আঙিনায় পা দিতে শুরু করায় সেখানেও নজর কাড়ছেন। এসবের বাইরেও আবার এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মধ্যে বাকযুদ্ধেও নজর কাড়তে বাকি রাখছেন না। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অভিনেত্রী আর এক অভিনেত্রীকে ‘থলথলে বৌদি, ‘কমরেট মাংস পিণ্ড’ বলে কটাক্ষ, আর তার পাল্টা নজর কাড়ছে নেটিজেনদের।
অভিনেত্রী শ্রীলেখার পুরাতন একটি জামা তার গায়ে ফিট হতো না। এরপর দুদিন আগে হঠাৎ তার মনে হয় ওই জামাটি পরে দেখার। তারপর তা তিনি পরে দেখেন দিব্যি ফিট হচ্ছে। আর এরপর তার পুরাতন দিনের কথা মনে পড়ে এবং তিনি তার সেই ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি রিমঝিম মিত্রের পুরাতন মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন।
ভোটের সময় শ্রীলেখা মিত্র একটি মন্তব্য করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাকি সাত কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়েছিল তাদের মন্তব্য। যে কারণে শ্রীলেখা রিমঝিমকে ব্লক করে দেন।
আর সেই আক্রমণেরই এক টুকরো স্ক্রীনশট তুলে ধরেছেন শ্রীলেখা। যেখানে রিমঝিমকে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে, ‘থলথলে বউদি আমায় ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিণ্ড কি এটা ঠিক করল আমার সঙ্গে?’
অন্যদিকে বুধবার শ্রীলেখা নতুন করে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লিখেন, “এই পোশাকের ট্যাগটা এখনও রয়ে গিয়েছে। বাইরে কখনও পরিনি। দিনের পর দিন ইন্ডাস্ট্রির এবং সাধারণ মানুষরা বডি শেমিং করেছে তথাকথিত ‘মোটা’ হওয়ার জন্য। দিদি এত জিম করেন কমেনি একটুও। আমার থেকে বেশি যেন বাকিদের বারোমাসের সমস্যা এটা। আমি তো স্বঘোষিত ফুডি এবং জিন বা খাবার হজম করার শক্তি যাই বলুন না কেন আমি জানি আমি গোলগাল।”
[aaroporuntag]
এখানেই শেষ নয়। এরপরেও শ্রীলেখার দীর্ঘ সেই পোস্টে লেখা রয়েছে, “যাক গে আমি নিয়মিত শরীরচর্চা করি আর জোর গলায় বলতে পারি ৪০ বছরের মাঝামাঝি এসে ২০ বছর বয়সের থেকেও বেশি ফিট আছি। তখন কাজ হারাবার ভয়ে হাঁটুর ব্যথা পর্যন্ত লুকিয়ে কাজ করতাম। এখন তা আর নেই। সবশেষে এখন একটাই কথা বলতে চাই আমার এই পোশাকটি ফিট হয়েছে আর এ শরীরের প্রত্যেকটা ভাঁজ একান্ত আমার। বিষয়টা ফিট থাকার ফ্যাট নয়। ঘূর্ণিঝড় যশ থেকে সুরক্ষিত থাকুন।”