নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি তথা বিজেপি জোট সঙ্গীদের তরফ থেকে এবার গোটা দেশে ৪০০ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, এনডিএ তাদের লক্ষ্য পূরণে এবার অনেকটাই সফল হতে পারে। দেশে ৪০০ আসনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে অন্ততপক্ষে ৩৫টি আসনের টার্গেট নিয়েছে তারা। আর এই ৩৫টি আসনের টার্গেট পূরণ করতে নেমে রীতিমত চমক দিতে দেখা যাচ্ছে দেশের শাসক দল বিজেপিকে।
বিজেপির তরফ থেকে রবিবার নতুন করে একটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। যে প্রার্থী তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। রাজ্যের প্রার্থী তালিকায় একের পর এক নতুন মুখ দেখতে পাওয়ার পাশাপাশি রীতিমত চমকও দেখা যায়। আর এই সকল চমকের মধ্যে অন্যতম হলো শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র (Serampore TMC BJP)।
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার বিজেপির তরফ থেকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি অন্য এক লড়াই শুরু করে দেওয়া হল। আর সেই লড়াই হলো প্রাক্তন শ্বশুর জামাইয়ের লড়াই। এই লড়াইয়ে কে কাকে টক্কর দেবে সেটাই দেখতে এখন শ্রীরামপুরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি গোটা হুগলি ও গোটা বাংলার মানুষেরা তাকিয়ে।
শ্রীরামপুরে তৃণমূলের তরফ থেকে আগেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দুঁদে রাজনীতিকের পাশাপাশি একজন দুঁদে আইনজীবী। শ্রীরামপুরের পাশাপাশি হুগলির অধিকাংশ এলাকা তার হাতের তালুর মধ্যে রয়েছে। আবার এখানেই বামফ্রন্টের তরফ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তরুণ মুখ দীপ্সিতা ধরকে। আর এসবকে টেক্কা দিতে এবার এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করল কবীর শঙ্কর বোসকে।
কবীর শঙ্কর বোস কেবলমাত্র তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী নন, তিনি ছিলেন তার প্রাক্তন জামাই। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে কবীরের বিয়ে হলেও তা কয়েক বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পাশাপাশি রয়েছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব। এছাড়াও কবীর শঙ্কর বোসও একজন আইনজীবী এবং তিনি সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কবীর শঙ্কর বোস ২০১৫ সালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলাও করেছিলেন। অন্যদিকে আইনজীবী হলেও রাজনৈতিক আঙিনায় কবীর শঙ্কর বোসের বেশ পরিচিতি রয়েছে। কেননা এর আগেও তিনি বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। যদিও সেবার জয়লাভ করেননি। তবে এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন শ্বশুর জামাইয়ের কে কাকে টক্কর দেয় সেটাই এখন দেখার! নাকি প্রাক্তন শ্বশুর জামাইয়ের লড়াইয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান দিপ্সিতা ধর সেটাও এখন দেখার।