Adani Power: সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সত্যি খুবই শোচনীয় এবং সেই সম্পর্কে গোটা বিশ্ব অবগত। হাসিনা সরকার পড়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অর্থনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে বাংলাদেশবাসী। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিদ্যুৎ কেনার মত অর্থ নেই বাংলাদেশের কাছে। যার জেরে আদানি পাওয়ারের থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে আগের তুলনায় ৬০% কমেছে বিদ্যুতের রফতানি।
যেহেতু বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ কিনতে পারছে না আগের মত সেহেতু আদানি সংস্থাকে (Adani Power) যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিভাবে পূরণ হবে এই ক্ষতি? সেই কারণেই আদানি পাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ অন্য দেশে পাঠানোর জন্য চেষ্টা চালানো হবে। তবে অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনুমতি চাওয়া হবে বাংলাদেশের কাছে। তবে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেরকম সেক্ষেত্রে অনুমতি পাওয়া যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়বে।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যেভাবে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে আদানিকে (Adani Power) তাই তারা সেই ক্ষতিপূরণের জন্যই বিদ্যুৎ পাঠাতে চাইছে শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে ট্রান্সমিশন লাইন তৈরী হয়েছে সেটা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই তৈরী করা হয়েছিল। আদানি যদি শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ পাঠাতে চায় তাহলে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পাঠাতে হবে। এছাড়া আরেকটি উপায় হল সম্পূর্ণ নতুন করে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন লাইন নেটওয়ার্ক তৈরি করা। তবে তা অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ হবে।
আরও পড়ুন:Siliguri Chickens Neck: মুর্শিদাবাদ-মালদহের পরে এবার টার্গেটে শিলিগুড়িও, ভারতীয় সেনাও প্রস্তুত
ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ রফতানি করতে গেলে অনুমতি লাগবে বাংলাদেশ সরকারের এবং এই অনুমতি আদৌ কি দেবে বাংলাদেশ সরকার? পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তা বিচার করলে অনুমতি পাওয়া যথেষ্ট চাপের। বাংলাদেশের জন্য যে প্রকল্প ছিল সেটাই শ্রীলঙ্কায় বিক্রি করতে চাইছে আদানি (Adani Power)। তাই এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ কতটা সহযোগিতা করবে তা সন্দেহজনক। এর জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির থেকে সম্মতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক পরিচিতি এখন এতটাই খারাপ যে আদানি পাওয়ারের কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলার বকেয়া পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ রফতানির পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার অন্যতম মূল কারণ হলো এই বকেয়া টাকা। এদিকে বাংলাদেশে হাইকোর্টের আদেশে মোট ১১টি প্রকল্পের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আদানি পাওয়ারের সাথে চুক্তিও তদন্তযোগ্য। তবে ভবিষ্যতে কি হবে তা এই মুহূর্তে কিছুই বলা সম্ভব নয়।