নিজস্ব প্রতিবেদন : পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিটি যুবক-যুবতী চাকরির পিছনে দৌঁড়ে থাকেন। যুবক যুবতীদের অধিকাংশ আবার সবচেয়ে বেশি দৌঁড়ে থাকেন সরকারি চাকরির পিছনে। তবে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরি নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখতে পান না এই চাকরি প্রার্থীরা। এমত অবস্থাতেই অবশ্য পুজোর আগে সুখবর শোনালো রাজ্য। কেননা খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য কাউন্সিলিং (SSC Recruitment) শুরু করা হবে।
এসএসসির (SSC) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১১ সাল থেকেই একপ্রকার থমকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং শুরু করতে চলেছে রাজ্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, ২০১১ সালের পর এবার হবে কাউন্সিলিং। এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। তবে পুরোপুরি স্বস্তি এখনো আসেনি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সেই নির্দেশ মেনেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর এত অল্প সময়ের মধ্যে অবশ্য সবকিছু সেরে ফেলা সম্ভব নয় বলেও জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুল ছুটি হয়ে গেলেও তাদের তরফ থেকে এখন কাজ চলবে এবং সেই মতো প্রাথমিক একটি খসড়া তৈরি করা হবে। কাউন্সিলিংয়ের জন্য সাত দিনের সময় দেওয়া হবে। কারণ অনেকেই রয়েছেন যারা দূরদূরান্ত থেকে চাকরির জন্য আবেদন করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপাতত একটি প্রাথমিক নোটিশ দেওয়া হবে এবং তারপর কল লেটার যাবে।
এক্ষেত্রে ৩০ অক্টোবর থেকে কল লেটার যাওয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত এবং অনুমান করা হচ্ছে ৬ নভেম্বর থেকে কাউন্সিলিং শুরু হতে পারে। তবে কাউন্সিলিং শুরু হলেও এখনই নিয়োগ হবে না বলেও জানা গিয়েছে। কেননা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যেমন কাউন্সিলিং শুরু হচ্ছে ঠিক সেইরকমই আবার হাইকোর্টের নির্দেশের পরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চাকরির ক্ষেত্রেও রাজ্যে এখন শূন্য পদের সংখ্যা অনেক বেশি। শূন্য পদের সংখ্যা ১৪৩৩৯। এদিকে এসএসসিতে প্যানেল ভুক্ত চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ৯০০০ এবং অপেক্ষারত চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০০০। এসএসসি বোর্ড চাইছে শিক্ষক নিয়োগের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে নভেম্বর মাসে এবং তার আগেই কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শেষ করে দেওয়ার।