The state allocated 51 crore rupees to develop Gajoldoba as a tourist center: উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গাজলডোবা (Gajoldoba) ভোরের আলো প্রকল্পের উন্নয়নে আরো ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। উত্তরকন্যা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে এমনই ঘোষণা করেছেন স্বয়ং রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তার পাড় ঘেষে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। যথেষ্ট পরিমাণ ভিড় হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্রে। সরকারি রিসর্ট ছাড়াও এখানে বেসরকারি হোটেলেও রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চল সংলগ্ন তিস্তা নদীর পাড় ঘেসে অবস্থিত অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গাজলডোবা (Gajoldoba)। সরকারি রিসর্ট ছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি হোটেলে রয়েছে এবং সেখানেও পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে। পর্যটন কেন্দ্রটিকে সাজানোর জন্য পাখি বিতান, নৌকা বিহারসহ চালু করা হয়েছে আরো নানা সুযোগ সুবিধার। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে থানা তৈরি করা হয়েছে এখানে। শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেরই অভাব রয়েছে এখানে, স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনা করা হলেও তার কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। ওয়েলনেস সেন্টার, কনফারেন্স হল, রেস্তোরাঁ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করার প্রস্তাব এসেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ টাকায় এইসব কাজে হাত দেবার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গাজলডোবা (Gajoldoba) পর্যটন কেন্দ্রটিকে আরো সাজানোর জন্য ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। গজলডোবার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অন্যতম সদস্য খগেশ্বর রায় বলেন, গজলডোবা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমেই এখানে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এছাড়া আরো অনেক পরিষেবার কথা চিন্তাভাবনা করা হয়েছে সেগুলি ধীরে ধীরে রূপায়ণ করা হবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা এই অনুমোদনের খবর শুনে খুশি হয়েছেন পর্যটক ব্যবসায়ীরাও। ভোরের আলোয়ে একটি সাংস্কৃতি কেন্দ্র ও রেস্তোরা তৈরি করা প্রয়োজন। তাতে পর্যটকদের অনেক সুবিধা হবে। এছাড়াও গজলডোবা যাওয়ার পথে করতোয়া নদীর ওপর ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটিও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন ? Siliguri-Gajadoba Road: জট কাটতেই সুখবর, এবার আরও সহজে যাওয়া যাবে শিলিগুড়ি, ডুয়ার্স, গজলডোবা
গাজলডোবা (Gajoldoba) ছাড়াও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের উন্নতির জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। যাতে এই টাকা খরচ করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুটো আলাদা হোস্টেল তৈরি করা সম্ভব হয়। এছাড়া ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ১০০ বেডের একটি ওয়ার্ড তৈরি করার জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের জন্য ১০০ বেডের দুটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হবে। জলপাইগুড়িতে মোট ৩৪ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পগুলিতে মোট খরচ হবে ১৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করেন, সেই প্রকল্প গুলোর জন্য খরচ হবে ১৭৭ কোটি টাকা।
সেখানকার যা শ্রমিকদের জন্য প্রথমে চা সুন্দরী প্রকল্প পরিকল্পনা করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জমির পাট্টা দলিল দেওয়া হবে। ‘যেমন ভাবে তেমন কাজ’। মুখ্যমন্ত্রী ৫০০ চা শ্রমিকের হাতে জমির পাট্টা দলিল এবং বাড়ি করার জন্য ১২০০০০ টাকা করে তুলে দিয়েছেন। কাওয়াখালীতে এসজেডির তৈরি করা ফ্ল্যাটের চাবিও তুলে দিয়েছেন নিম্নবিত্ত উপভোক্তাদের হাতে।