State Government: ট্যাব কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি হবে না কৃষকদের ক্ষেত্রে, বদ্ধ পরিকর রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ট্যাব কেলেঙ্কারি শিক্ষা দিয়ে গেছে রাজ্য সরকারকে। আর তাই কৃষকদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে রাজ্য। এই ক্ষেত্রে কোন প্রকার জালিয়াতি চায় না রাজ্য সরকার। সেই কারণে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত বিষয়। ট্যাব কেলেঙ্কারির মতন এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অসচ্ছতা বরদাস্ত করতে পারবে না রাজ্য। যতটা সম্ভব স্বচ্ছ ভাবেই পরিচালনা করতে চাইছে কৃষকদের অর্থ বন্টন প্রক্রিয়াটি।
ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার পদ্ধতিতে টাকা পেয়ে থাকেন কৃষকরা। এর জন্য ব্যবহৃত হয় একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল। কিন্তু এই পোর্টালটি কতটা সুরক্ষিত? সেখানে কোন ফাঁক নেই তো? সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এখন খরিফ মোরশুম। অর্থাৎ এই সময়টাতে ধান তোলা এবং বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ রবিশস্য উঠবে। এই দুটি সময়ের উপর ভিত্তি করে সরকার (State Government) চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে নেয়। তার বিনিময় খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২৩০০ টাকা করে পান এই সমস্ত চাষিরা। সরাসরি ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করলে আরো কুড়ি টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন চাষিরা। বর্তমানে নথিভুক্ত চাষীর সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪২৯ জন।
চলতি বছরে ধান কেনার জন্য ৭০ লক্ষ মেট্রিক টনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। যার মধ্যে ৫১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান ইতিমধ্যে কেনা হয়ে গেছে। চলতি মোরশুমে কেনা হয়েছে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন ধান। খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে পরিমাণ ধান বিক্রি হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেয়ে যান চাষিরা। প্রত্যেক চাষির কাছ থেকে কতটা পরিমাণ ধান কেনা হলো এবং তার বিনিময়ে তাদেরকে কতটা পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হলো সবকিছুই নথিভুক্ত করা হয় একটি পোর্টালের মাধ্যমে। এইবার সেই পোর্টালটির স্বচ্ছতা যাচাই করার নির্দেশ দিচ্ছে খাদ্য দপ্তর।
আরো পড়ুন: সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণে নয়া নিয়ম, ১০% হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপে পড়েছে মধ্যবিত্তরা
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষকদের টাকা দেওয়ার এই পদ্ধতি অত্যন্ত সুরক্ষিত। এই নিয়ে কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। তবে সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই আরো একবার যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে সমস্ত পদ্ধতিটিকে। রেশন যে পদ্ধতিতে দেওয়া হয় সেটি রাজ্য সরকারের (State Government) নিজস্ব পোর্টাল। কিন্তু সেখান থেকেও আধার তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছিল। এই কারণে কৃষকদের ক্ষেত্রে সুরক্ষার দিকটি ভালোভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। যদিও এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পে কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। এই প্রকল্প অত্যন্ত সুরক্ষিত বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার।
মুর্শিদাবাদের এক বিধায়ক অভিযোগ এনেছিলেন চাষীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ ধান কেনা হয় তার পরিবর্তে সঠিক পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই কম টাকা পাচ্ছেন চাষীরা। অর্থ প্রদান পদ্ধতিতে গাফিলতি রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের (State Government) তরফ থেকে সমগ্র পদ্ধতি যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনরকম গাফিলতির হদিশ পাওয়া যায়নি। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুরক্ষিত। এর মধ্যে যদি কোন রকম গাফিলতি করা হয় তাহলে তা ধরাও পড়ে যাবে অনায়াসে। তবে অনলাইন পোর্টালের বাইরে যদি কোন চাষীর সাথে কারো ব্যক্তিগত কোন আলোচনা হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে খাদ্য দপ্তরের পক্ষে তা নির্ধারণ করা একটু সমস্যা জনক।