Self-Help Groups: বামফ্রন্টের আমল থেকেই রাজ্যে বহু গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী বেড়ে উঠেছে। গ্রামের জনগণের আর্থিক উন্নতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অবদান অনস্বীকার্য। তবে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আমলে এটি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী বেড়ে উঠেছে গ্রাম থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে। রাজ্য সরকার প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে এই ধরনের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। রাজ্যের আনন্দধারা প্রকল্পে শুক্রবার এই বরাদ্দ করা হয়েছে।
রাজ্যের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার বরাবর নানা ধরনের প্রকল্প আনার চেষ্টা করেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে রাজ্যের অর্থনীতিকে আরো বেশি চাঙ্গা করতে চায় রাজ্য সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (Self-Help Groups) নিরিখে এই মুহূর্তে সারা দেশে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে মোট স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা হল ১২ লক্ষ ১ হাজার। যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ১.২১ কোটি পরিবার।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর (Self-Help Groups) আসল কাজ কি চলুন জেনে নিই আজকের এই প্রতিবেদনে। কাঁথা সেলাইয়ের মতো পণ্য, ডোকরা, ঘরে তৈরি চকোলেট, মাদুর ম্যাট থেকে ফুড প্রসেসিং, মিষ্টি হাব- একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ২০২১-২২ সালে অনুদানের পরিমাণ ৫০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকা করে রাজ্য।
আরও পড়ুন:Toto Licence: এবার থেকে লাগবে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনও, নয়া নীতি আছে রাজ্য
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির (Self-Help Groups) সম্প্রসারণে জেলা ভিত্তিক মেলা চালু হয়েছে। এই ধরনের অভিনব উদ্যোগের ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো আর্থিক দিক থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। দার্জিলিংও কলকাতাকে টেক্কা দেওয়ার জন্য কলকাতার আদলে চলতি বছর থেকে শুরু করেছে সরস মেলা। প্রশাসন যা হিসাব করেছে সেটা অনুযায়ী, চলতি বছরে ২১টি মেলা থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মোট বিক্রয়ের পরিমাণ হলো ১২.২১ কোটি টাকা। আগামী বছরের শুরুর দিকে ১০ জানুয়ারি থেকে দেশবন্ধু পার্কে এবং ২৪ জানুয়ারি থেকে পার্ক সার্কাস ময়দানেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুটি মেলা আয়োজিত হতে চলেছে।
মেলায় যারা জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করেছে তারা হলো পশ্চিমবঙ্গের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা। সাধারণত এই শহরগুলো হলো গুরুগ্রাম, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, দিল্লি। যাতে ক্রেতারা সহজেই আকৃষ্ট হয় তার প্রচেষ্টা করেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো। গোষ্ঠীর বিক্রয় বাড়ানোর জন্য আগামী বছর নেওয়া হচ্ছে নতুন পদ্ধতি। ই বিক্রয় কেন্দ্রও চালু করেছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে ফি বছর এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়। এর সেলাইয়ের কাজও করেন এই গোষ্ঠীর মহিলারা।