Pension: শিক্ষকদের পেনশন (Pension) প্রক্রিয়ায় বহুদিনের জটিলতা অবশেষে কমতে চলেছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক যুগান্তকারী ঘোষণা করেছেন, যা শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি এনে দিয়েছে। এতদিন ধরে, পেনশনের জন্য ন্যূনতম ১০ বছরের চাকরি করা আবশ্যক ছিল। কিন্তু এবার থেকে, কোনও শিক্ষক যদি ৯ বছর ৬ মাসও চাকরি করেন, তবে তাঁকে পেনশন দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
রাজ্যের শিক্ষা দফতর এই নতুন নিয়ম কার্যকর করবে, যা শিক্ষকদের জন্য একটি বড় আশীর্বাদস্বরূপ। আগে, চাকরির মেয়াদ পূর্ণ না হলে শিক্ষকদের পেনশনের (Pension) দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হতো। আদালতে যাওয়ার এই দীর্ঘসূত্রতা এবং মানসিক চাপ থেকে এবার শিক্ষকেরা মুক্তি পাবেন।
নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, ৯ বছর ৬ মাস চাকরি করা কোনও শিক্ষক যদি শিক্ষা দফতরে বাকি ৬ মাসের ঘাটতি পূরণের আবেদন করেন, শিক্ষা দফতর সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এই পদক্ষেপ শিক্ষকদের জন্য বিরাট স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ আদালতের ঝামেলা এড়িয়ে তারা দ্রুত তাদের পেনশন (Pension) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষারত্ন ফিরিয়ে দিলেন এক শিক্ষক
শিক্ষামন্ত্রী এই উপলক্ষে শিক্ষকদের জন্য আরও একটি বড় সুবিধা নিয়ে এসেছেন। তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯০৮৮৮৮৫৪৪) চালু করেছেন, যেখানে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সরাসরি তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন। এতে শিক্ষার দফতরের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগ আরও সহজ ও স্বচ্ছ হবে। এর পাশাপাশি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর সংশোধন হলে তা সরাসরি ডিজি লকারে আপডেট হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি দারুণ সুবিধা হিসেবে আসবে।
এবারের শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানটি অনাড়ম্বরভাবে পালিত হয়েছে, কারণ সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণে বড় আড়ম্বর এড়ানো হয়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষারত্ন সম্মান কিছুদিন পরেই প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি, সেরা বিদ্যালয় এবং শিক্ষকতায় অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানো ব্যক্তিদেরও সম্মাননা জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষকদের পেনশন প্রক্রিয়ায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং অন্যান্য উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যা শিক্ষকদের সম্মান এবং সুবিধা বৃদ্ধির পথে এক বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।