Awas Yojana: আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল প্রথম থেকেই। জনসাধারণের কল্যানে কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক জনহিতকর প্রকল্প চালু করে থাকে এবং তার মধ্যে এটি অন্যতম। আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে একের পর এক আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের জন্য আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) টাকা দুই বছর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। বারংবার অনুমোদন জানালেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল কেন্দ্রের এই আচরণের বিরুদ্ধে গিয়ে করা বার্তা দিয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘোষণা করেছিলেন আবাস যোজনার টাকা তিনি নিজেই দেবেন।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আবারো উঠে এসেছে আর্থিক দুর্নীতি অভিযোগ। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে রাজ্যে একাধিক জেলা থেকে। অজান্তেই টাকা চলে যাচ্ছে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আলোরন সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য স্কুল পড়ুয়াকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। এই ঘটনাতে জড়িয়ে ছিলেন অনেকে এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়ে আবাসের (Awas Yojana) টাকা নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিল নবান্ন। চালু করা হলো নয়া পোর্টাল।
সূত্র মারফত জানা গেছে যে, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো কড়া ব্যবস্থা নেবে এবার এবং জালিয়াতি বন্ধ করার জন্য তারা সর্বদিক থেকে প্রচেষ্টা করছে। সেখানে উপভোক্তার পরিচয়পত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখা হবে। যারা যোগ্য ব্যক্তি তারাই আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা পাচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে এবার থেকে।
আরও পড়ুন:WB Govt Job Vacancy: মালদহ প্রশাসনিক বিভাগে দুর্দান্ত কাজের সুযোগ অবসরপ্রাপ্তদের জন্য
গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো যে বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করবে তাদের প্রধান কাজ হবে একাধিক দফায় উপভোক্তাদের পরিচয়পত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখা। যদি সব নথিপত্র ঠিক থাকে তবে ক্যাম্প থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে এবং তারপর আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) বাড়ি তৈরির টাকা পাবেন উপভোক্তারা। রাজ্য সরকার শুধুমাত্র বিশেষ পোর্টাল খুলে চুপ নেই, বিডিও অফিসে ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কি কি নিয়ম পালন করতে হবে তার নির্দেশিকা।
পোর্টালের প্রধান কাজ হল, উপভোক্তা নামের সঙ্গে তার আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ করা। প্রশাসনকেও এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা রাখা হবে যাতে অ্যাপের মাধ্যমে উপভোক্তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়। এই ছাড়াও যে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ করা রয়েছে, সেই মোবাইল নম্বরে OTP- র মাধ্যমেও এই কাজ করা যাবে। যদি সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলেই আবার যোজনার তালিকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম উঠে আসবে। এরপর সরাসরি পোর্টাল থেকেই SMS এর মাধ্যমে উপভোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচিত হওয়ার কথা। আর সেই SMS এর ভিত্তিতে তিনি টাকা পাবেন।