The state government will build shopping malls in these 10 cities by spending several crores of rupees: কলকাতা শহরের আনাচে কানাচে রয়েছে প্রচুর শপিং মল (Shopping Malls)। বর্তমান পরিবর্তিত সময়ে গজিয়ে ওঠা এই শপিংমলগুলোতে আপনারা পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের জিনিস তাও আবার একই ছাদের তলায়। তবে জেলার বিভিন্ন শহরের মানুষেরা এই সুবিধাগুলো এখনো এভাবে পায়নি। মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করে এখন জেলাগুলোতেও গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরনের শপিং মল। আজকের প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
নবান্নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্যের ১০টি জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য শপিং মল করা হবে এমনকি তার জন্য জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নর পক্ষ থেকে। চিহ্নিত করা জমিতে গড়ে উঠবে শপিংমল। এইসব শপিংমলগুলোতে (Shopping Malls) স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জিনিসই বিক্রি হবে, যার ফলে আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার আশা রয়েছে।
এই ধরনের শপিংমলগুলোতে (Shopping Malls) যদি রাজ্যের তৈরি জিনিস বিক্রি হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মধ্যে এই জিনিসগুলো কেনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য যে পাঁচতারা শপিংমল হতে চলেছে তাতে পুরোটাই এই গোষ্ঠীর পণ্য বিক্রি হবে। এর আগে এই চিন্তা ভাবনাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকার কাছে দক্ষিণাপন। বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য চালু হয়েছে নিজস্ব মল। এরকমই শুরু হবে গোটা রাজ্যে।
শুধুমাত্র বাংলার পোশাক শিল্প নয় পাশাপাশি বাংলার হস্তশিল্প আগের থেকে অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। মানুষের মধ্যেও এর চাহিদা আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন রকম শিল্প একই ছাদের তলায় পাওয়াটা খুবই মুশকিল। কি সমস্যা সমাধান করতে আসছে এই বিভিন্ন শপিংমলগুলো। আচার–পাঁপড়–মোরোব্বা থেকে শুরু করে অন্যান্য খাবার যা স্বনিভর্র গোষ্ঠীর হাত ধরে গড়ে উঠেছে। এই ধরনের খাবারগুলোকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপিংমলে (Shopping Malls) এনে মানুষের মধ্যে এর চাহিদা বৃদ্ধি করতে চাইছেন। বিভিন্ন জায়গার পর্যটকদের সামনে যদি বাংলার নিজস্ব ক্ষুদ্র এবং কুটিরশিল্পকে তুলে ধরা যায় তাহলে বাংলা অনেক বেশি লাভবান হবে। পর্যটকদের মধ্যেও বিভিন্ন জিনিস কেনার আকর্ষণ বৃদ্ধি হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাত ধরে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে।
আরও পড়ুন ? Complain Against Police: কাল ঘাম ছুটবে পুলিশের, ভুল করলেই করা যাবে অভিযোগ, বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্যের
জেলার বিভিন্ন জায়গায় জেলাশাসকদের ওপর ভার পড়েছে এই জমি চিহ্নিত করে দেওয়ার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য শপিং মল তৈরি করতে প্রায় দশ জায়গায় জমি দেখা হচ্ছে এবং রাজ্যের দশটি জেলায় গড়ে উঠবে এই শপিং মল। বিষয়টি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা গত ১২ই জুলাই। তখনই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জেলাশাসকদের জানিয়ে দেয় নবান্ন। বেশ তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে এই কাজ। যে ১০টি জেলা শহরে গড়ে উঠবে এই শপিংমল সেগুলো হলো—আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দিঘা, মেদিনীপুর, মালদা এবং চন্দননগর।
সারা বাংলা জুড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা হল ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৬টি। সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষের কিছু বেশি। এমনকি শহরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে যাদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপণন। এইসব জেলাগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি সেইখানে এই শপিংমল গড়ে উঠলে লাভবান হবে সবাই। শুধুমাত্র কলকাতাতেই যদি এই ধরনের শপিং মল তৈরি হয় তা ব্যবসার পক্ষে যথেষ্ট নয়, সেই কারণে জেলাতেও গড়ে উঠতে চলেছে এই ধরনের শপিংমল (Shopping Malls)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁত, বস্ত্রশিল্প, হস্তশিল্পকে তুলে ধরতে চান। দুবাইয়ের মত দুর্গাপুজোর আগেই বাংলায় বিশ্ববঙ্গ কনভেনশান সেন্টার হচ্ছে। আলিপুর জেল মিউজিয়ামের পাশে হিডকো একটি মল তৈরি করেছে। বাংলার হস্তশিল্প ও তাঁত এবং চর্মজাত শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে সেইখানে।