Govt Employee DA: বছরের প্রথমেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকে দেওয়া হল বড় উপহার। ক্যাবিনেটে অনুমোদন পেয়েছে অষ্টম বেতন কমিশন। এই কারণেই বৃদ্ধি পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এবং পাশাপাশি মহার্ঘ ভাতা। কিন্তু লক্ষ্মী লাভ হয়নি বাংলার সরকারি কর্মীদের। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় থাকা রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (Govt Employee DA) বৃদ্ধি পায়নি দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিয়ে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সমাজ মাধ্যমের একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অষ্টম পে-কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। অষ্টম পে-কমিশন অনুমোদন পাওয়ার জন্য ৪৯ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী চলতি বছরে উপকৃত হতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন পদক্ষেপে সপ্তম বেতন কমিশনকে আরো ভালোভাবে সংস্কার করা হবে অষ্টম বেতন কমিশনে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনো পড়ে রয়েছে ষষ্ঠ পে-কমিশনে। কারণ এই রাজ্য ঋণে জর্জরিত। যতদিন যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ততই বৃদ্ধি করে চলেছেন ঋণের বোঝা। তাই রাজ্য নতুন বেতন কমিশন তো দূর, ডিএ (Govt Employee DA) দিতে পারে না। যদি বেতনের পার্থক্য করতে হয় তাহলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক অনেকটাই।
বর্তমানে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ (Govt Employee DA) পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেই তুলনায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে। যার ফলে নতুন বছরে হাসিমুখ দেখা যাবে না রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র পার্থক্য দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বৃদ্ধি পেয়েছিল রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা। চলতি বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিষয় নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা করেননি।
অন্যদিকে ডিএ (Govt Employee DA) আন্দোলনকারীরা দাবি করেছে যে, তাদের প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। রাজ্য সরকার যদিও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও নড়চড় করেনি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই প্রসঙ্গে বলা চলে যে, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭০ সালের পে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কারণে কেন্দ্রে যখন পঞ্চম বেতন কমিশন কার্যকর হয়, তখন রাজ্যে চতুর্থ কমিশন আসে। আর কেন্দ্রে সপ্তমের জায়গায় রাজ্যে বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরে নিয়ে নিয়েছে দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত যার ফলে লাভবান হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। বৃহস্পতিবারই ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের বেতন সংস্কারের জন্য অষ্টম পে কমিশনের অনুমোদন দিয়েছে। নতুন বছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। বাজেট ঘোষণার বেশ কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অষ্টম বেতন কমিশন অনুমোদনের ঘোষণা করলেও কবে থেকে এটি কার্যকর করা হবে তা জানানো যায়নি। তবে ২০২৬ সালের মধ্যে এটি কার্যকর করা হবে এমনটাই সম্ভাবনা রয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অষ্টম বেতন কমিশন চালু হওয়ার বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে চেয়ারম্যান ও দু’জন সদস্য।