The state Govt is going to bring a New App for buying and selling land: বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে দাঁড়িয়ে নিজের বাড়ি তৈরি করা কিংবা নিজের নামে একটা জমি কিনতে পারা হাতে চাঁদ পাওয়ার মতন অবাক করা বিষয়। তারপরও নিজের জমি বাড়ি কেনার ইচ্ছে থেকে অনেকেই হয়তো লোন করে হলেও সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। কিন্তু প্রোমোটারের চক্করে পড়ে জমি কেনার ক্ষেত্রে ঠকে যেতে হয় অনেককে। জমির উপযুক্ত দামের চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয় জমি। এখন আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না কাউকে। রাজ্য সরকারের নতুন অ্যাপ (State Govt New App) থেকে জেনে নেওয়া যাবে যেকোনো জমির সঠিক দাম।
নতুন জমির ডায়নমিক ভ্যালুয়েশন তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নির্দিষ্ট এলাকার জমি বাড়ির দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে উপকৃত হবে এলাকাবাসীও। বর্ধিত এই দাম দেখা যাবে নিজের মোবাইল থেকে। খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার তেমন ব্যবস্থাই করতে চলেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন একটি অ্যাপ (State Govt New App) নিয়ে আসা হচ্ছে। যেটির সাহায্যে বাড়িতে বসে নিজের ফোনেই দেখে নেওয়া যাবে জমির সঠিক ডায়নমিক ভ্যালুয়েশন। জমির দাম নিয়ে বা জালি কাগজপত্রের কারণে আর কাউকে ঠকে যেতে হবে না।
জমি বাড়ির দাম নির্ধারণ করার সময় বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়। যেমন ১ টি জমির আশপাশে কতটা রাস্তা রয়েছে, জমির মোট পরিমাণ কত, মৌজা বা প্লট নম্বর কত ইত্যাদি বিষয়গুলিকে নজরে দেখে তবেই জমির ভ্যালুয়েশন নির্ধারণ করা হয়। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে কার্পেট এরিয়া সহ নির্দিষ্ট আবাসনে প্রাপ্ত বিশেষ কিছু সুবিধা যেমন লিফ্ট, পার্কিং এরিয়া, সামনে রাস্তা সবকিছু মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয় জমির দাম। লকডাউনের সময় থেকে স্ট্যাম্প ডিউটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে রেখেছিল রাজ্য সরকার। ফলে কর আদায়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই গাফিলতি হয়েছে। তাই এখন থেকে আবারো শক্ত হাতে নজর দিতে চলেছে এই বিষয়গুলির উপর।
এবার প্রশ্ন হল ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন বলতে ঠিক কি বোঝায়? কিভাবে এই ভালুয়েশন নির্ধারণ করা হবে? এখন থেকে যেকোনো জমির দাম নির্ধারণ করা হবে সেই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ যদি কোন এলাকার অবস্থা উন্নয়নের আওতার বাইরে থাকে, তাহলে সেই জমির দাম কম থাকবে। উন্নয়ন চলাকালীন সেই জমির দাম কিছুটা বেড়ে যাবে। উন্নয়ন কার্য সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই জমির দাম আরো কিছুটা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ এইভাবে প্রতিনিয়ত বদলাতে থাকবে একই জমির দাম। সেজন্য এইপদ্ধতিতকে ডায়নামিক পদ্ধতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই কারণে জমির দাম নির্ধারণের জন্য প্রচলিত নতুন নিয়মকে ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
তবে এইভাবে জমির দাম পরিবর্তিত হতে থাকলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। উন্নয়নের পর জমির দাম যা হতে পারে সেই আন্দাজ করে উন্নয়নের আওতার বাইরে থাকা জমিগুলো বিক্রি করে দিতে পারে প্রোমোটাররা। ফলে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারে সাধারণ মানুষ। এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্যই নতুন ১ টি অ্যাপ (State Govt New App) চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোন জমি কেনার আগে বাড়িতে বসে নিজের ফোনের মাধ্যমে সে জমির বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার বর্তমান ডাইনামিক ভ্যালুয়েশন জানতে পারবেন যে কোনো গ্রাহক। জমি সংক্রান্ত বিশেষ কিছু তথ্য দিলে অ্যাপের সাহায্যে আপনার জিজ্ঞাস্য যে কোন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু হয়েছে সুইজারল্যান্ডে। এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।