New Rule Vehicle Reselling: সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি সরগরম তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা নিয়ে। দুষ্কৃতীরা খুনের চেষ্টা করেছিল তাকে। ঘটনাটি রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গোটা রাজ্যে। কলকাতা পুলিশের ভূমিকা এখন প্রশ্নের মুখে। প্রশাসনিক দিক থেকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। এমনকি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থাকেও। আজকের এই প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন এই খবর।
দুষ্কৃতীরা যে স্কুটারটি নিয়ে তাকে মারার জন্য এসেছিল তার সন্ধান ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে ইতিমধ্যেই জানা গেছে যে ওই স্কুটারটির মালিকানা বদল হয়েছে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই। এমনকি জানা গেছে যে, স্কুটারে ব্যবহার করা হয়েছিল ভুয়ো নাম্বার প্লেট। এই ঘটনার পেছনে আসলে কারা জড়িত ? এই ঘটনাটির জন্য যেমন কলকাতা পুলিশ প্রশাসনকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, তেমনই চিন্তায় রয়েছে পরিবহণ দফতর। প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পরিবহন ব্যবস্থাতেও কোনরকম অবহেলা করতে চাইছে না সরকার।। গাড়ির মালিকানা বদলের (New Rule Vehicle Reselling) ক্ষেত্রে সব তথ্য পরিবহণ দফতরের তথ্যভান্ডারে নথিভুক্ত করা যায় কি না, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
আরো পড়ুন: শুধু মেট্রো নয়, এবার গঙ্গার তল দিয়ে ছুটবে গাড়িও! কবে মিলবে কেন্দ্রের এই উপহার
পরিবহণ দফতরের নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে (New Rule Vehicle Reselling) সেটা অনুযায়ী, যখনই কোন গাড়ির মালিক তার গাড়ির বিক্রি করতে চাইবে কিংবা মালিকানা বদল করতে চাইবে সেক্ষেত্রে আগে জানাতে হবে পরিবহন দপ্তরকে। নতুন নিয়মে পুরনো যানবাহন কেনার জন্যও সরকারকে কর দিতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ প্রবণতা থাকে গাড়ি বিক্রি করে দায়ভার মুক্ত হওয়া।
আরো পড়ুন: শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেডে মেট্রো চলবে খুব শীঘ্রই, কোন চালে হলো বাজিমাত
যেহেতু সাধারণ মানুষ যানবাহন হাতবদলের তথ্য পরিবহণ দফতরকে দেয়না সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটার প্রবণতা বেড়ে যায়। তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ মামলায় পরিবহণ দফতরের কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও নথি নেই। যদি কখনো গাড়ি নিয়ে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে পুলিশ প্রশাসন তো বটেই, পরিবহণ দফতরকেও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এইসব কারণের জন্যই কড়া পদক্ষেপ (New Rule Vehicle Reselling) নিতে বাধ্য হচ্ছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেছেন যে, যখন পুরনো গাড়ি বিক্রি হবে, তখন যেমন রাজস্ব আদায় হবে, আবার গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দিক থেকেও সুবিধা হবে। বিষয়গুলো যদিও এখনো আলোচনার স্তরেই রয়েছে।