PPP Model Bus: কলকাতায় এবার পিপিপি মডেলে চলবে বাস, দেখে নিন কোন কোন রুটে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

The state will run buses on PPP model from now on some routes in Kolkata: পিপিপি মডেল বলতে আসলে কি বোঝায় জানেন কি তা? এর আসল অর্থ কি? পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ হলো এর পুরো অর্থ। হাসপাতালের আদলে এবার থেকে বাসের ক্ষেত্রেও চালু হলো পিপিপি মডেল (PPP Model Bus)। তিলোত্তমা নগরীর কলকাতাতে মোট ১২টি রুটে এই পিপিপি মডেলে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। তবে বিশেষ কিছু নিয়ম আছে যেমন বেসরকারি অংশীদারিত্ব থাকবে মানেই মালিকানা ফলানো যাবেনা। এর প্রভাব কি ভাড়ার ক্ষেত্রে পড়বে কিভাবে জানা যাবে সেটা?

Advertisements

এখনো অবধি ভাড়া বৃদ্ধির কোনরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, হাওড়া-ইডেন সিটি-মহেশতলা এস ৪৭ রুটে, হাওড়া-ব্যারাকপুর এস ৩২ রুটে ও কলকাতা স্টেশন থেকে বাস চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকে। এমনকি সমস্ত বাস তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। এরজন্য জমা রাখতে হবে এককালীন ৫০ হাজার টাকা। বাস দেওয়ার সময় এটা নেওয়া হবে। প্রতি মাসে ৬-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হবে। সেখানে পিপিপি মডেলের বাস (PPP Model Bus)দেখা যেতে পারে।

Advertisements

তবে বাস চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মানতে হবে বেশ কিছু সরকারি নিয়ম। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভাড়াকে নিশ্চিত বলে মেনে নিতে হবে সবাইকে। সাবধান থাকতে হবে কোনওভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। যদি কেউ নেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে সেই বাসকে (PPP Model Bus)। বাসে যে কন্ডাক্টর ও চালক থাকবেন তারা বেসরকারি সংস্থার হাতেই থাকবে। পাশাপাশি এই বাস সরকার দ্বারা নির্দিষ্ট করা ডিপোতেই থাকবে। প্রয়োজনে সেখান থেকেই বের করতে হবে এবং রাতে সেখানে এসেই থামতে হবে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? New Govt Bus: বেসরকারি বাসের ভরসার দিন শেষ! বড় পরিকল্পনা রাজ্যের, নিমেষেই মিলবে সরকারি বাস

রাজ্য সরকার কেনো বেসরকারি হাতে বাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো? এর পিছনে আসল কারণটা কি? সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, সরকারের বাস চালিয়ে সেভাবে কিছুই লাভ হচ্ছে না। সেকারণেই কিছু বাসকে (PPP Model Bus) তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। জনগণের বক্তব্য হলো সরকার যদি লাভ করতে না পারে তাহলে বেসরকারি সংস্থা কিভাবে লাভ করবে এখান থেকে?

কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ বলেছেন যে রাজ্য পরিবহন দপ্তর আর বাস চালানোর ঝক্কি নিতে চাইছে না। সেইজন্যই এই দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে গেলে মাস গেলে মোটা টাকা নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। যাত্রীরা আদৌ কতটা পরিষেবা পাবে সেটাই আসল প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে পারাটাই আসল কাজ।

Advertisements