নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিলো গত মাসে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ উঠিয়ে নিলো। তবে আদালতের তরফ থেকে শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর ১১ ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। যার পর সেই নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি বের করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলে ১০ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় মেধা তালিকা। মেধাতালিকা হিসাবে ১৬২৮৪ জন নিয়োগ করে বোর্ড এবং বাকিদের পরে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু এই মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতা রয়েছে এই অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেন। যার পরেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আবেদন করে ডিভিশন বেঞ্চে। আর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
[aaroporuntag]
তবে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন্দ্র ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সাথে সাথে জানান আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে যথাযথভাবে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। আদালতের এদিনের এই নির্দেশের পর পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় যেমন রাজ্য সরকার স্বস্তিতে ফিরলেন ঠিক তেমনি স্বস্তি পেলেন চাকরিপ্রার্থীরাও।