Sourav Ganguly’s steel plant is going to be built at this place instead of Shalboni: বাংলার মহারাজকে কে না চেনেন, কিন্তু এবার তিনি ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে প্রবেশ করতে চলেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগতে। বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা হয়তো হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতাতে। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোন তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে কি অন্যত্র হতে চলেছে এই কারখানা নাকি গড়বে তাই হয়ে উঠবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ইস্পাত কারখানার কেন্দ্রস্থল।
কিন্তু সূত্র মারফত সম্পূর্ণ অন্য একটি তথ্য সামনে এসেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চন্দ্রকোনা রোডের প্রয়াগ ফিল্ম সিটির একাংশেই গড়ে উঠবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ইস্পাত শিল্পের কারখানা। বেশ কয়েকদিন ধরেই ফিল্ম সিটির পরিত্যক্ত জমিতে ডব্লুবিআইডিসি, ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা যাচ্ছেন। এমনকি সেখানে রীতিমতো চলছে মাপামাপি হচ্ছে জমি জায়গা। সরকারি অফিসারদের কার্যকলাপ এমনটাই ইঙ্গিত করছে।
অনেকদিন আগে থেকেই ফিল্মসিটির জায়গা সরকার অধিকৃত করেছিল। সেই জমি থেকেই প্রায় ৩১৫ একর জমি রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এর সংস্থাকে এখান থেকেই জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে জেলার জেলাশাসক থেকে বিডিও কেউই মুখ খোলেনি। সব প্রশ্নের উত্তর লুকানো আছে শিল্পোন্নয়ন নিগম এর কাছে। নিগম এই ব্যাপারে কোন কিছুই স্পষ্ট ভাবে বলেনি।
আরও পড়ুন ? Fake Lottery Ticket: লটারিতে কোটি টাকা জেতার স্বপ্ন! যা চলছে তাতে স্বপ্ন দেখার আগে ১০ বার ভাবতে হবে
আগামী শুক্রবার রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম এই ব্যাপারে একটি বৈঠক করতে চলেছে। এই বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনও উপস্থিত থাকবে এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের মাদ্রিদে গেছিলেন বাণিজ্য সম্মেলনে। অবাক করা বিষয় হলো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সেখানে ছিলেন তার সফরসঙ্গী।
সেই সফরেই কি তবে সব কথাবার্তা পাকা হয়ে গেছিল? এই বাণিজ্যিক সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে এই কারখানা নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলেছেন স্বয়ং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক (Sourav Ganguly)। প্রথমে অবশ্য এই কারখানা নির্মাণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল শালবনিকে। কিন্তু পরবর্তীকালে এই কারখানার স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বয়ং মহারাজ। নবান্ন সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই জমি হস্তান্তর নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। অবশেষে রাজ্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।