বাইক হোক অথবা গাড়ি, হোলির রং থেকে সুরক্ষিত রাখুন এই ৬ পদ্ধতিতে

হোলি (Holi) এর দিন রাস্তায় চার চাকা বা দু চাকা বার করলেও রঙ লাগার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আর এই রঙে মিশে থাকে অনেক রাসায়নিক পদার্থ যা আপনার গাড়ির কালার টোন খারাপ করে দিতে পারে। গাড়ি বা বাইকে স্ক্র্যাচ করতে পারে, তাই দাম দিয়ে কেনা গাড়ি বাইকের যত্ন নিতে আগে ভাগে সতর্ক থাকতে হবে।

হোলি (Holi) উদযাপনের মধ্যে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে আর রক্ষে নেই। এদিক ওদিক থেকে উড়ে আসতে পারে রঙ ভর্তি বেলুন। এছাড়া আবির আর পিচকিরি দিয়ে ছেঁটানো রঙ তো রয়েইছে। আপনার সাধের গাড়ির বারোটা বাজতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায়ও রয়েছে। যদি গাড়িতে রঙ লেগে যায়, তাহলে রঙ তোলার উপায় যেমন আছে, তেমনই আগেভাগেই সাবধান হয়ে রঙের হাত থেকে গাড়ি বাঁচানোর উপায়ও রয়েছে।

হোলি (Holi) এর রঙ থেকে গাড়ি সুরক্ষিত রাখার উপায়

১) হোলির চড়া রঙ থেকে নিজের গাড়ি সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় সেটি আপাদমস্তক ঢাকা দিয়ে রাখুন। উন্নত মানের কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন গাড়ির বনেট, ডোরহ্যান্ডেল, উইন্ডস্ক্রিন ইত্যাদি।

২) রাস্তায় বেরোলে অতি অবশ্যই গাড়ির কাচ বন্ধ রাখুন। কাচ খুলে রাখলে গাড়ির ভিতরের অংশেও রঙ লেগে সমস্যা হতে পারে।

৩) হোলির রাসায়নিক রঙ থেকে গাড়ি সুরক্ষিত রাখতে কার ওয়াক্স লাগিয়ে নিন। এর ফলে গাড়ির উপর অতিরিক্ত একটি লেয়ার তৈরি হয় যার ফলে হোলির রঙ লাগলেও গাড়ির আসল পেইন্ট সুরক্ষিত থাকে।

৪) আপনি নিজে যদি রঙ খেলে ভিজে পোশাকে থাকেন, তাহলে ওই অবস্থায় গাড়িতে না ওঠাই ভাল। সেক্ষেত্রে সঙ্গে শুকনো জামাকাপড় রাখুন। ভেজা পোশাক পাল্টে গাড়িতে উঠবেন। এছাড়াও গাড়ির সিটে কভার পরিয়ে রাখতে পারেন।

৫) গাড়িতে যদি কোনও রকম রঙ বা স্ক্র্যাচ পড়ে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেটি পরিষ্কার করুন। কারণ ওই রঙ বা স্ক্র্যাচ অনেকদিন ধরে থাকলে তা গাড়ির আসল পেইন্ট স্কিম খারাপ করে দেবে এবং দেখতেও বাজে লাগবে। গাড়ির কেবিন পরিষ্কার করার সময় ভেজা কাপড় ব্যবহার করবেন না।

৬) এছাড়া টেফলন কোটিং করাতে পারেন। সেটা অবশ্য একটু খরচ সাপেক্ষ। তবে টেফলন কোটিং থাকলে গাড়ির অরিজিনাল রঙ একই থাকে।