নিজস্ব প্রতিবেদন : সত্যিই অবাক কান্ড। পাথরের শিব মূর্তির মুখের সামনে চামচ করে জল ধরলেই নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে। শুধু পাথরের শিবমূর্তির মুখের সামনে জল ধরলে তা উধাও হয়ে যাচ্ছে এমন নয়, পাশাপাশি একই ঘটনা ঘটছে ওই শিব মূর্তির পাশে থাকা পাথরের নন্দী মহারাজের মূর্তির ক্ষেত্রেও। এমন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে। এমন ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমছে দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষদের।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল থানার অন্তর্গত মধুসূদনপুর কোলিয়ারী এলাকায় থাকা শিব মন্দিরে। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ এক ভক্ত ওই মন্দিরে আসেন পূজো দেওয়ার জন্য। সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা নন্দী মহারাজের পাথরের মূর্তিতে মুখের সামনে চামচ করে জল ধরলেই সেই জল নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে।
ওই মন্দিরে থাকা নন্দী মহারাজের পাথরের মূর্তির পাশেই রয়েছে পাথরের শিবমূর্তি। ওই ভক্ত এরপর দেখেন পাথরের ওই শিব মূর্তির মুখের সামনে চামচ করে জল ধরা হলে সেখান থেকেও জল নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই কৌতুহল জাগতে শুরু করেছে তাহলে কি জল পান করছেন পাথরের শিবমূর্তি আর নন্দী মহারাজ!
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা ওই মন্দিরে আসা শুরু করে দেন। মন্দিরে শুরু হয় পূজো অর্চনা। এই ঘটনার পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে কিনা তা কারো জানা নেই, তবে এলাকার মানুষদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে পাথরের শিবমূর্তি এবং নন্দী মহারাজ জল পান করছেন। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এক বাসিন্দা হৃদয় রাম গুপ্তা দাবি করেছেন, ‘জল পান করছেন নন্দী মহারাজ এবং শিব মূর্তি’।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞান মঞ্চের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় ঘটতে দেখা গিয়েছে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনাকে বলা হয় সারফেস টেনশন। যে কারণে মাটি অথবা পাথরের মূর্তি জল অথবা দুধের মত কোন তরলের সংস্পর্শে এলে কিছু পরিমাণ টেনে নেয়। যে কারণে মনে করা হতে পারে মূর্তি জল অথবা দুধ পান করছে।