‘আমি বিজেপিতে যোগ দিতেই এদের পায়ে কাঁটা ফুটে গেছে, লাফাচ্ছে’, শুভেন্দু

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাপ্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই তাকে একাধিকবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রসঙ্গে বারংবার খোঁচা দিতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই খোঁচা বহাল থাকলো সোমবারও। সোমবার ছোট আঙ্গারিয়া দিবসে গরবেতা একটি সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই তিনি তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আমি বিজেপিতে যোগ দিতেই এদের পায়ে কাঁটা ফুটে গেছে, লাফাচ্ছে।’

Advertisements

Advertisements

শুভেন্দু অধিকারী এদিনের সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “৩০ মিনিটের বক্তৃতায় ২৯ মিনিট আমার বিরুদ্ধে। বলছে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর গডসের দলে গেছে। আরে সেদিন গডসের দলের ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী যদি দরজাটা খুলে না দিতেন তাহলে মাননীয়া আপনার পার্টির ঘাসটাই অনেকদিন আগেই উপড়ে চলে যেত।”

Advertisements

তিনি আরও বলেন, “খুব বড় বড় কথা। পার্টিটা তো উঠেই গেছিল ২০০৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে। উঠে গেছিল। এখানে যারা তৃণমূল এবং বিজেপিকে অর্থ বিগত দিনে তারা কেউ শিয়ালদা স্টেশনে অথবা হাওড়া স্টেশনে গিয়ে হকারি করতো। লোকের বাড়ির সিঁড়ির নিচে দিন কাটাতো। এরা তো এখান থেকে পার্টিটা তুলেই দিয়েছিল। এই লোকগুলো যে আজ বাহাদুরি করছে। ভাঙ্গা সাইকেল ছেড়ে স্করপিও গাড়িতে ঘুরছে। আর পুড়া বিড়ি ছেড়ে লম্বা লম্বা সিগারেট খায়। আর রেমন্ডসের জামা কাপড়, রোল গোল্ডের চশমা, আর হাতে দামি দামি ঘড়ি অথবা বাচ্চার জন্মদিনে ৪ লাখ আর মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে হাফ কোটি টাকা খরচা করে। এই লোকগুলোকে আমি অক্সিজেন দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ঘরে ঢুকে গেছিল।”

এর পরেই তৃণমূল নেত্রীর নাম না করেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “গডসের পার্টি! ২০০৬ সালে যে দিন অনশন করেছিলেন সিঙ্গুরে, অনশন ভাঙ্গানোর জন্য কোন নেতা আসে নি। সেদিন কিন্তু এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার হাতে সরবত খেয়ে আপনারা অনশন ভেঙে ছিলেন। আজকে বড় বড় কথা বলছেন!”

বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপি নেতা নেত্রীদের একে অপরের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই পারদ আগামীদিনে আরও করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements