‘বিজেপি আশ্রয় না দিলে তৃণমূল পার্টিটায় থাকতো না’, কড়া আক্রমণ শুভেন্দুর

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানোর পর প্রথম সভাতেই মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো সম্বোধন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করতে দেখা গেল।

Advertisements

Advertisements

পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রের ছাদনিতে মঙ্গলবার বিজেপির তরফ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যে সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত থাকলেও কেন্দ্রবিন্দু যেন হয়ে উঠেছিলেন সদ্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের পর শুভেন্দু অধিকারীর এটাই ছিল প্রথম সভা। যে কারণে এই সভা ঘিরে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক মহলের মধ্যে আলাদা প্রত্যাশা ছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুভেন্দু কড়া আক্রমণ সানাবেন। আর প্রত্যাশামতো হলোও তাই।

Advertisements

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নিজের ক্ষমতায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার থাকলে ২০০১ সালেই হতেন। আমি আমার কথা বলবো না। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ অনেক কিছুই দেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিধানসভা, পঞ্চায়েত আর লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে কারা ছিল? সেদিন যদি প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানি তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ২০০১ সালে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেত।”

আর এই ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ সানানোর পর শুভেন্দু অধিকারী ‘ভাইপো হটাও’ স্লোগান তুলে গর্জে ওঠেন। গরু পাচার, কয়লা পাচার একাধিক ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘একুশে সরকারে এলে শুধু কিডনি পাচার বাকি।’ পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন যে, “আমি মীরজাফর নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়। যাদের আত্মসম্মান আছে তারা ওই দলটা করতে পারবেন না। ওই দলটা একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।”

শুভেন্দু অধিকারীর গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানো নিয়ে শাসক দলের বহু নেতাকর্মী শর্তের কথা তুলছেন। আর এই শর্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “আমার সঙ্গে একাধিকবার অমিত জি, দিলীপ দার মতো নেতাদের সাথে কথা হয়েছে। কোথাও কোনো শর্ত আমি রাখিনি। শুধু বলেছি তোলাবাজ ভাইপো হঠাতে হবে।”

Advertisements