নেতাজির INA-র গানকে জাতীয় সঙ্গীত করার পরামর্শ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জনগণমন’ বদলে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নির্দেশে লেখা একটি গান দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দু’পাতার চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। আর এই চিঠি নিয়ে দ্রুত সাড়াও পেয়েছেন তিনি। আর সেই দ্রুত ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি তিনি তার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisements

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন’তে প্রবীণ এই বিজেপি সাংসদের আপত্তির অন্যতম কারণ হলো কিছু শব্দ। তিনি মনে করেন জাতীয় সঙ্গীতে কিছু কিছু শব্দ অনাবশ্যকভাবে ধন্দ তৈরি করে। আর এর পাশাপাশি তিনি ‘জনগণমন’ জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নির্দেশে লেখা গান, যা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (INA)-র তরফ গাওয়া হতো সেটিকেই জাতীয় সঙ্গীত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

Advertisements

সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যে গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সেটি হল ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পংক্তি ‘শুভ সুখ চৈন কী বরখা বরষে ভারত ভাগ হৈ জাগা’। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, এই গানটি লেখা হয়েছিল ১৯৪৩ সালে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নির্দেশে গানটি লিখেছিলেন আইএনএ-র দুই সদস্য মুমতাজ হোসেন এবং কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানি। আর এই গানটিতে সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিংহ ঠাকুর। এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের অনুবাদ।

Advertisements

সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, ১৯৪৩ সালের ২১ শে অক্টোবর ব্রিটিশদের মনিপুর থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর আজাদ হিন্দ ফৌজ ‘জনগণমন’-এর যে সংস্করণটি গ্রহণ করেছিলেন সেটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আর এই সকল দাবী করার পাশাপাশি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আশা করছেন আগামী বছর ২৩ জানুয়ারি এই সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র সরকার।

Advertisements