Reliance Jio: ভাগ্যের চাকা কোন দিকে কখন ঘুরবে সেটা কেউ বলতে পারেনা। আজকে ভালো দিন কাটলে কালও একইরকম কাটবে সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। ভারতের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থার রিলায়েন্স জিও হারিয়ে ফেলেছে ৭৯ লক্ষ গ্রাহক, তাও মাত্র ৩০ দিনে। রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। যেই টেলিকম সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা সবথেকে বেশি ছিল সে কিভাবে হারালো এত বড় সংখ্যার গ্রাহক? ভারতের ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি টেলিকম বিজনেসে ধাক্কা খেলেন বড় রকমের।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, মোবাইল শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এত বড় গ্রাহক সংখ্যা ছেড়ে দিয়েছে রিলায়েন্স জিওর (Reliance Jio) হাত। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লক্ষী লাভ হয়েছে রাষ্ট্র টেলিকম সংস্থার বিএসএনএলের। বিএসএনএল নিজের পরিষেবা আগের থেকে আরো বেশি উন্নত করেছে এবং কম মূল্যে বিভিন্ন ধরনের রিচার্জ প্ল্যান পাচ্ছে গ্রাহকেরা। শেষ ৩০ দিনে ১৫ লক্ষ নতুন গ্রাহক পেয়েছে এই সংস্থা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বা ট্রাই প্রকাশ করেছে টেলি পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলির গ্রাহক সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় এক কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। পাশাপাশি জিও (Reliance Jio) হারিয়ে ফেলেছে প্রায় ৭৯ লক্ষ গ্রাহক। তালিকায় শুধুমাত্র জিও নয় আছে সুনীল মিত্তলের ভারতী এয়ারটেল, যার গ্রাহক কমেছে ১৪ লক্ষ এবং ভোডাফোন-আইডিয়া হারিয়েছে ১৫ লক্ষ গ্রাহক।
আরও পড়ুন:Airtel New Plan: আম্বানির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ, Airtel এর নতুন স্কিমে ভুলবে সবাই
এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বিএসএনএল। বিএসএনএল চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৫৫ লক্ষ নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে। রীতিমতো ঘুরে গেছে এই রাষ্ট্র সংস্থার ভাগ্যের চাকা। গ্রাহকদের সবথেকে বেশি পছন্দ হয়েছে বিএসএনএল এর একাধিক ব্যান এবং এর মূল কারণ হলো খরচ কম। রিপোর্টের ভিত্তিতে এই তথ্যই সামনে এসেছে। কেন্দ্রের টেলি যোগাযোগ দপ্তরের তথ্য বলছে, প্রায় ১৫ লক্ষ গ্রাহক জুলাইতে বেসরকারি সংস্থা ছেড়ে বিএসএনএলে স্থানান্তরিত হয়েছে। আগস্ট মাসের সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ লক্ষ এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা বজায় ছিল। এই দুই মাসে যথাক্রমে ১১ লক্ষ ও সাত লক্ষ গ্রাহক অন্য পরিষেবা ছেড়ে শুরু করেছেন বিএসএনএল ব্যবহার। চলতি বছরে বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিওর (Reliance Jio) পরিবর্তে বেছে নিয়েছে বিএসএনএল।
কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন যে, বিএসএনএলের valo সময় শুরু হয়ে গেছে। বিএসএনএলের জন্য সামনে আসছে দুর্দান্ত সুযোগ। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবার্ট রাভি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে এই সংস্থার বিভিন্ন পরিষেবার শুল্ক বৃদ্ধি করার কোনও পরিকল্পনা নেই।