নিজস্ব প্রতিবেদন : সংসদের ক্যান্টিনে বসে ৬৫ টাকায় হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি খাওয়ার দিন এবার অতীত। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সংসদের ক্যান্টিনে সাংসদদের জন্য খাবারের ভর্তুকি উঠিয়ে নেওয়া হলো। যাওয়ার পর আর হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি কেন, কোন খাবারের ক্ষেত্রে সাংসদরা ভর্তুকি পাবেন না। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বাজেট অধিবেশনের আগে স্পষ্ট করে দেন ভর্তুকি তুলে নেওয়ার বিষয়টি।
সংসদের এই ক্যান্টিনে ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ হতো বছরে কম করে ১৭ কোটি টাকা। ক্যান্টিনে ভর্তুকি দেওয়ার এই নিয়ম স্বাধীনতার পর থেকেই চলে আসছে। ফলে সাংসদরা অনেকটাই সস্তায় খাবার পেতেন। বর্তমান বাজারের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের ক্যান্টিনে ৫০ টাকায় দেওয়া হতো চিকেন কারি। ৩৫ টাকায় মিলতো ভেজ থালি। থ্রি কোর্স মিলের দাম ছিল ১০৬ টাকা। ১২ টাকায় পাওয়া যেত সাদা ধোসা। ২০১৮ সালে করা একটি আরটিআই থেকে এই সকল তথ্য পাওয়া যায়। যার পরেই বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন।
এই সকল ক্ষোভ দেখে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বছর খানেক ধরেই ক্যান্টিনে সাংসদদের খাবারের ভর্তুকি তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। অধিকাংশ সাংসদ ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পক্ষে নিজেদের মতামত পোষণ করেছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ভর্তুকি উঠবে উঠবে এমনটা খবর হওয়ার পর অবশেষে এদিন ভর্তুকি তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই নিয়ম চলে আসার পরিপেক্ষিতে সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন এই জায়গাতেই, যখন দেশের মানুষ বেশি দাম দিয়ে জিনিসপত্র কিনছেন তখন কেন সাংসদ এবং সংসদের কর্মীরা ভর্তুকি দিয়ে সস্তায় খাবার পাবেন? কারণ তারা এমনিতেই মোটা অঙ্কের বেতন সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর এই সকল প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি আমজনতা।