A successful surgery opened new horizons in medical science: বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের (Medical science) অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে যা মানবসমাজের জন্য অত্যন্ত সুখবর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি সাধনের তেমনই এক নজির মিললো তেলঙ্গানার নালগোন্ডা জেলায়। সাধারণত কয়েন কিংবা লকেট জাতীয় কোন জিনিস শিশুরা যখন ভুলবশত গিলে ফেলে তখন তাদের জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই জিনিস বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থার দ্বারা অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করে সহজেই বের করা যাবে সেই ছোট জিনিস। আজকের প্রতিবেদনটি থেকে আপনি সহজেই সেই উত্তরটি জানতে পারবেন।
তেলঙ্গানার নালগোন্ডা জেলায় চিকিৎসকেরা বিনা অস্ত্রোপচার করে ছয় মাসের শিশুর শরীর থেকে বের করে আনলেন একটি লকেট। কিভাবে সম্ভব হল এই অসাধ্য সাধন? নিশ্চয়ই আপনারও জানতে ইচ্ছা করছে তাহলে পড়তে হবে আজকের এই প্রতিবেদনটি। ছমাস বয়সী সেই মেয়েটি একটি লকেট নিয়ে খেলা করছিল আচমকা সে মুখে দিয়ে গিলে ফেলে। কান্নাকাটি শুরু করলে সবাই জানতে পারে সে একটি বড়সড় মাপের লকেট গিলে ফেলেছে।
মেয়েটির বাবা-মা তার কান্নার কারণ প্রথমে বুঝতে পারেনি, তারপর লক্ষ্য করে যে লকেটটি নিয়ে সে খেলছিল সেটি তার কাছে নেই। লকেটটি না পেয়ে তারা আন্দাজ করে ফেলে মেয়েটি হয়তো খেলতে খেলতে লকেট গিলে ফেলেছে। ক্রমে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বাবা-মা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে স্ক্যান করে জানা যায় যে, মেয়েটি লকেটটি গিলে ফেলেছে এমনকি লকেটটি শরীরের কোথায় আটকে আছে সেই সঠিক স্থানটিও পর্যন্ত নির্ধারণ করা যায়।
আরও পড়ুন ? Health Scheme in West Bengal: চিকিৎসা খরচ নিয়ে আর চিন্তা থাকল না পঞ্চায়েত কর্মীদের! বড় ঘোষণা রাজ্যের
লকেটের স্থান নির্ধারণ করা গেলে চিকিৎসকদের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আসে কিভাবে বের করা হবে সেই লকেটটি? কারণ শিশুটির বয়স খুবই কম সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা একেবারেই অসম্ভব। তাহলে কিভাবে শিশুটির প্রাণ বাঁচানো যাবে সেটাই চিকিৎসকদের সামনে সবথেকে বড় প্রশ্ন ছিল। গ্যাস্ট্রোলজিস্ট ডা. কীর্তি রেড্ডি জানিয়েছেন, বয়স কম হওয়ার জন্য, শিশুটির প্রাণনাশের ঝুঁকি পর্যন্ত ছিল। এই পরিস্থিতিতে, লকেটটি বের করতে ডাক্তাররা এন্ডোস্কোপির সাহায্য নেন।
বিনা অস্ত্রোপচার করে শুধুমাত্র এন্ডোস্কোপির দ্বারা ৬ মাস বয়সী ওই শিশুর পেট থেকে লকেট বার করার ঘটনা চিকিৎসাবিজ্ঞানে (Medical science) একেবারে বিরলতম। কিন্তু খুশির খবর হল শিশুটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ছোট্ট শিশুরা ভুলবশত এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাই এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।