নিজস্ব প্রতিবেদন : জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়া অন্যান্য জিনিসপত্রের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা ধীরে ধীরে সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মাছ এবং মাংসের উপর। রবিবার বাজারে চিকেনের দাম অন্ততপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কিলো প্রতি বাড়তে লক্ষ্য করা গেল। আর এমত অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়তে শুরু করেছে মধ্যবিত্তদের।
খোলাবাজারে দিন কয়েক আগে পর্যন্ত যে মুরগির মাংসের দাম ছিল ১৫০-১৭০ টাকা কিলো সেই মুরগির মাংসের দাম রবিবার পৌঁছে গেছে ২৩০-২৫০ টাকায়। জেলার পরিপ্রেক্ষিতে এই দামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। তবে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই বর্তমানে মুরগির মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী নজরে এসেছে।
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুরগির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পোল্ট্রিতে ব্রয়লার মুরগি বড় হওয়ার জন্য যে সকল খাদ্য সব থেকে জরুরি যেমন ভুট্টার দানা, সরষের খোল, বাদামের খোলা এবং অন্যান্য যেসকল খাবার রয়েছে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে তারাও কিলো প্রতি মুরগির দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আর তাদের থেকে খোলাবাজারে মুরগির মাংস বিক্রেতা চড়া দামে মুরগি কেনায় তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
মুরগির ব্যবসা সাথে যুক্ত এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে মুরগি বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের দাম বেড়েছে। যে কারণে যারা এই মুরগির ব্যবসার সাথে যুক্ত তাদের খরচ হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে। আর এই খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই পেট্রোল ডিজেলের দাম তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করে। দেখতে দেখতে সেই দাম বর্তমানে সেঞ্চুরির কাছাকাছি। এমত অবস্থায় সমস্ত জিনিসের পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে। অন্যদিকে একই ভাবে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে চলেছে। আর এসবের যাঁতাকলে পড়ে স্বাভাবিকভাবেই নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে উঠছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির।