রিয়ার সাথে ভাটের গলা জড়িয়ে ছবি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মহেশের সহকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যময় মৃত্যুতে যে মহেশ ভাট ও বর্তমান বান্ধবীর রিয়ার গভীর যোগ আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই বলেই মনে করছে সুশান্তের সমর্থকেরা। সেই সন্দেহ আরও জোরদার হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর বান্ধবী সুরিতা দাসের এক স্টাটাসে।

সেখানে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী সমর্থনে তিনি বলেছেন, রিয়া যেভাবে সুশান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন জীবিত থাকাকালীন, তা নিজের চোখে দেখেছেন তিনি। যে কোন সমস্যায় তিনি মহেশ ভাটের কাছে ছুটে যেতেন পরামর্শের জন্য। সুশান্তকে অবসাদ থেকে বার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে রিয়া।

এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই সুরিতা দাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্তের ফ্যানেরা। তাদের বক্তব্য, সুশান্তকে অবসাদ থেকে বার করার জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে মহেশ ভাটের বুকে গলায় জড়িয়ে ধরে ছবি তোলার কেন প্রয়োজন পড়লো?

আর এই ছবি, তাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে একসময় মুখ খুলেছিলেন সুহিত্রা সেনগুপ্ত। যিনি একসময় মহেশ ভাটের সহকর্মী ছিলেন। ছিলেন মহেশ ভাটের অ্যাসোসিয়েট। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সেই বক্তব্যকে তুলে ধরেছে। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, “রিয়ার সঙ্গে মহেশের দীর্ঘদিন ধরে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যে কারণে নানান সময় মহেশ ভাটের থেকে হয়ত উপদেশ গ্রহণ করতেন রিয়া। একটা সময় পর যখন সুশান্ত অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েন, তখন মহেশ ভাটই রিয়াকে বলেছিলেন সুশান্তের থেকে সরে আসতে। একেবারে দায়িত্ব নিয়ে অভিভাবকের মতো বুঝিয়ে বলেন বেশিদিন সুশান্তের সঙ্গে থাকলে সেও পাগল হয়ে যাবে।”

সুশান্তের মৃত্যুর পরই মহেশ ভাট জানিয়েছিলেন, সুশান্ত সিং রাজপুত এরকম যে করতে পারে তিনি অনুমান করেছিলেন। পরভিন ববির সঙ্গেও সুশান্তের তুলনা করেছিলেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর বেরিয়ে আসে মহেশ ভাট রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন।
সুশান্ত সিং রাজপুত, রিয়া চক্রবর্তী ও মহেশ ভাট এই ত্রিভুজ সম্পর্কের এক জটিলতা আস্তে আস্তে স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সুশান্তের ফ্যানেরা।

ইতিমধ্যেই বলিউডের বিগ লবিদের বিরুদ্ধে দেশের তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ যে ভাবে বাড়ছে তা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ইতিমধ্যে নেমে পড়েছে শিবসেনার মুখপাত্রের সম্পাদক সঞ্জয় রাউত। তিনি জানিয়েছেন, “সুশান্তের মৃত্যু হতাশাজনিত কারণে আত্মহত্যা।
কিন্তু সুশান্তের মতো এত বড় মাপের অভিনেতার মৃত্যু মোটেই সাদামাটা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সুশান্তের হাত থেকে মাত্র ছয় মাসে একের পর এক বিগ বাজেটের ছবি বেরিয়ে গেছে। খুব কৌশলে স্টার কিডসদের দিয়ে সুশান্তের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো হয়েছে। সুশান্ত মানসিক হতাশা থেকে বাঁচতে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়েছেন।”

View this post on Instagram

Suhrita Das has openly said ‘sushant was slipping away’ & rhea was continuously informing & running to mahesh bhatt who advised her to leave sushant. who the hell is mahesh to be informed about anything regarding sushant?! #CBIEnquiryForSSR #SushantSinghRajput @sushantsinghrajput #cbienquiryforsushant #sushantsinghrajput #shwetasinghkirti #ripsushantsinghrajputsir?? #ripsushant #ripsushantsinghrajput?? #bollywoodcelebrity #bollywoodstyle #bollywood #rheachakraborty #JusticeForSushantSinghRajput #justiceforsushantsinghrajput #loveyousushantsinghrajput❤️❤️ #hatebollywood #boycottkaranjohar #boycottnepotism #boycottsalmankhan #boycottaliabhatt #boycottkaranjoharmovies #bigscreen #dilbechara #rip #patna #bihar #love #support #help #justiceforsushantmurder

A post shared by Fake Bollywood (@hate_bollywood) on

আশ্চর্যজনকভাবে সুশান্তের মৃত্যুর আগের রাতে ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কোন মানসিক রোগী সকালে ঘুম থেকে উঠে ফলের রস খেয়ে দুবারের চেষ্টায় আত্মহত্যা করেছে এমন অদ্ভুত ঘটনা সম্ভবত আগে কোনদিন ঘটেনি। এক অত্যন্ত মেধাবী মানুষের মৃত্যু অভিনয় জগতের পাওয়ার অফ গেমের কারণে যে হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।