নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল একের পর এক দুর্নীতি মামলায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পুর নিয়োগ দুর্নীতি, কোন কিছু থেকেই বাদ পড়ছে না রাজ্যের শাসকদলের নেতা নেত্রীরা। এসবের মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) ইতিহাস ফাঁস করলেন। সুকান্ত মজুমদার যে দাবি করেছেন সেই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আসলে সুকান্ত মজুমদারের এমন মন্তব্য সুজিত বসুকে সিবিআই (CBI) সমন পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতেই। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসুকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায়। আর এই খবর সামনে আসার পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি কটাক্ষ করতে গিয়ে মন্তব্য করে বসেন, ‘একসময় স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন সুজিত বসু’। সুকান্ত মজুমদার এমন দাবি জোড় গলাতেই এদিন শুনিয়েছেন।
সুজিত বসুর পুরাতন ব্যবসা নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, “যে ব্যক্তির কথা বলছেন আমি কলকাতায় আসার পর নিউটাউন, বাগুইআটি এই সমস্ত অঞ্চল ঘুরে জানতে পেরেছি ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগ রোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই উত্থান। ওঁর এই মডেল স্টাডি করা যেতে পারে। ইডিরও স্টাডি করা উচিত এত টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে! এক সময় সুভাষ চক্রবর্তীকে ধরেছিলেন। তারপর পরবর্তী সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখন বলছেন দুষ্টু ছেলে।”
এর পাশাপাশি সুজিত বসু যে ক্লাবের পুজো করে থাকেন অর্থাৎ শ্রীভূমির পূজনীয় মন্ত্রীকে একহাত নেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “শ্রীভূমির পুজোয় নাকি তিন দিন ধরে বিসর্জন হয়। দুষ্টুমি করেন, কী সব হয়। আমার মনে হয় সিবিআই এবং ইডি দুজনেরই তদন্ত করা উচিত এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন এবং ভাগ অন্য কেউ পেয়েছে কিনা সেগুলোও দেখা উচিত।”
সুজিত বসু ছাড়াও এদিন সুকান্ত মজুমদার অভিষেক ব্যানার্জি প্রসঙ্গে ও একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তবে সুজিত বসুকে নিয়ে যাই বলা হোক না কেন এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে পাল্টা কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শাসক দলের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা সুজিত বসু অথবা অন্যান্য কারো তরফ থেকে।