Supreme Court: কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট, ফ্রি রেশন না দিয়ে দেওয়া উচিত চাকরি

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Supreme Court: যেকোন দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী করে তুলতে গেলে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজনীয়। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিমকোর্ট। শুধুমাত্র বিনামূল্যে রেশন না দিয়ে দেশে কর্মসংস্থান আরও বাড়ানোর কথা চিন্তা-ভাবনা করতে বলল সরকারকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই পরামর্শ দিল। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ দ্বারা দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলল যে, রাজ্যগুলিকে যদি বলা হয় বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার জন্য তারা হয়তো তা দিতে চাইবে না।

Advertisements

সুপ্রিমকোর্টে (Supreme Court) গত সোমবার ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে সুপ্রিমকোর্ট পরামর্শ দেয় যে, দেশে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যারফলে রাজ্য সরকারগুলিও জনসাধারণকে রেশন কার্ড দেওয়ার সংখ্যাও বাড়াবে তাদের মন জয় করার জন্য।

Advertisements

বিভিন্ন রাজ্যের সরকার ভালোভাবেই জানে যে, রেশন দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের ওপরই বর্তায়। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করেছে যে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলোকে যদি রেশনের কথা বলা হয় তাহলে তারা দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করতে চাইবে না।

Advertisements

আরও পড়ুন:IRCTCIRCTC: এবার বিনামূল্যে খাবার দেবে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, কারা পাবেন এই বিশেষ পরিষেবা

এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়ে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে যে, রেশন দেওয়ার ইস্যুতে রাজ্যগুলি বলবে যে তাদের কাছে অত টাকা নেই। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ফ্রিতে রেশন না দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এও প্রশ্ন তুলেছে যে, বেশি বেশি রেশন কার্ড দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলির থেকে টাকা আদায় করা উচিত কিনা।

২০২০ সালে মহামারীর সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৩ অনুযায়ী গোটা দেশে প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন, দেশের প্রায় দুই থেকে তিন কোটি মানুষ এখনো পর্যন্ত এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি মামলাটি লড়ছেন এটি এনজিওর পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের যদিও এই বিষয় নিয়ে কোন রকম মাথাব্যাথা নেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ।

Advertisements