নিজস্ব প্রতিবেদন : ফাঁসি থেকে বাঁচার সমস্ত রকম আইনি রাস্তা বন্ধের দিকে। সোমবার নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী পবন গুপ্তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। এই ঘটনায় চার দোষীর ফাঁসির আগের দিন এই কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
2012 Delhi gangrape case: One of the convict Pawan's curative petition has been dismissed by the Supreme Court. The petition had sought commutation of his death penalty to life imprisonment. pic.twitter.com/2KhruqyxVb
— ANI (@ANI) March 2, 2020
নির্ভায়া ধর্ষণকান্ডে দোষী এই চার অপরাধীর ফাঁসি দেওয়ার দিন বারবার পরিবর্তন হতে থাকে। অপরাধীরা বারবার আইনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এড়িয়ে যায় ফাঁসির দিন। এরপর ঠিক হয় মার্চ মাসের ৩ তারিখ সকাল ৬ টায় তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে। আর ঠিক তার আগেই ২৫ বছরের পবন গুপ্তা শীর্ষ আদালতে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে। এর আগে অন্য তিনজন কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করলেও একে একে তা খারিজ হয়ে যায়। গত সপ্তাহে পবন গুপ্তার করা কিউরেটিভ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রায় পুনর্বিবেচনা করার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
তবে এর পরেও পবন গুপ্তার জন্য খোলা রয়েছে একটি রাস্তা, যেটি হল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষা। যদিও বাকি তিনজন অপরাধী মুকেশ কুমার সিং, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমারের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আবার মুকেশ ও বিনয় প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। তবে তাও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ দিল্লি হাইকোর্ট নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে ঘোষণা করেছিল মার্চ মাসের ৩ তারিখ একসঙ্গে এই চার ধর্ষকের ফাঁসি দেওয়া হবে। এর আগেও দু’বার তাদের ফাঁসির দিন স্থির হয়েছিল। কিন্তু অপরাধীরা একে একে ক্ষমা ও কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে ফাঁসির দিন এড়িয়ে যায়। তবে ফাঁসির দিনের ঠিক একদিন আগে পবন গুপ্তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করার পর ফাঁসির দিন পিছানোর বা সাজা মকুবের আর্জি খতিয়ে দেখার কোন সুযোগ নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১২ সালের এই নির্ভয়া কাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। তারপর থেকেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে আইনি লড়াই। সেই আইনি লড়াইয়ে চার দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা হলেও আইনি গ্যাঁড়াকলে বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে দোষীদের ফাঁসি দেওয়া নিয়ে। তবে এবার দেশের মানুষ তাকিয়ে রয়েছে ৩রা মার্চের জন্য।