নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের ১৬,৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেই ঘোষণা মত কাজ শুরু করে দেয় পর্ষদ। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে প্রথম ধাপে ফল প্রকাশ করা হয় ১৫,২৮৪ জনের। জানানো হয় বাকি থাকা শূন্যপদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি তালিকা বের করা হবে।
কিন্তু এর মধ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করেন। সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করলে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে পুনরায় সেই মামলা খতিয়ে দেখার জন্য। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেয়।
কিন্তু এই নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় চলছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। যে কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জট লেগেই ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেই জটের অবসান ঘটলো। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের করা মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। মামলা খারিজের সাথে সাথে রাজ্য সরকারকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মমাফিক চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলো শীর্ষ আদালত। আর এই জোটের অবসান ঘটায় নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার স্বস্তি পেল।
[aaroporuntag]
শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য যে সম্মতি দিয়েছিল সেই রায়ই বহাল থাকলো। অর্থাৎ শীর্ষ আদালত শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার সম্মতি দিলো।