অবেশেষে মিললো বিচার, ফাঁসিকাঠে ঝুললো নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষী

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ ৭ বছরের অবসান। ঘড়ির কাঁটার ঠিক ভোর ৫:৩০ মিনিটে ৭ বছরের সেই টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে ফাঁসির কাঠে ঝুললো চার নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষী। এরপরেই নির্ভয়ার মা বললেন, ‘দেশের মেয়েরা আজ বিচার পেল।’

গতকাল ঠিক হয়ে যায় নির্ভয়াকাণ্ডের এই চার দোষীর ফাঁসি চূড়ান্ত। তবে শেষ মুহূর্তে অন্যান্যবারের মতই নাটক বজায় থাকে। আবার ফাঁসি নিয়ে আশা ছেড়ে দেয় অনেকেই। তবে ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে দিল্লি হাই কোর্টে অক্ষয় কুমার সিং, পবন গুপ্তা ও বিনয় শর্মা ক্ষমার আরজি জানালেও রাতেই শুরু হয় শুনানি। আর তারপর গভীর রাতে দিল্লি হাইকোর্ট সমস্ত রকম আর্জি খারিজ করে দেয়। এখানেই শেষ নয়। এরপর আবার পবন গুপ্তার আইনজীবী মধ‌্যরাতে আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টে। পবনের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ঘটনার সময় পবন নাবালক ছিল। তা সত্ত্বেও কেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তার ক্ষমার আর্জি খারিজ করেছেন।

আর এরপর রাত ২:৩০ টার সময় এই মামলার শুনানি শুরু হয় আদালতে। পবনের আইনজীবী দাবি করেন, ঘটনার সময় পবন গুপ্তা স্কুলে পড়ত। আর তার প্ৰমাণ স্বরূপ সমস্ত রকম নথিপত্র সরকারকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারের তরফে সেই সকল সমস্ত নথি চেপে দেওয়া হয়। এই মামলায় সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট পবনের আইনজীবীর এই সকল যুক্তি আর শুনতে চায়নি। আদালত জানিয়ে দেয়, এই সকল প্রশ্ন আগেও করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত আরও জানায়, স্কুলের দেওয়া শংসাপত্রের উপর কখনো বয়স ঠিক করা যায় না। আর এইভাবেই অবশেষে সমস্ত রকম আইনি জটিলতা মিটে। আইনি জটিলতা মিটে ফাঁসির মাত্র ঘণ্টা কয়েক আগে। এরপর শুক্রবার ঠিক ভোর ৫:৩০ মিনিটে ঝোলানো হয় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাবস্ত চারজন অক্ষয় কুমার সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংকে।