‘কেষ্ট দার অনুপস্থিতিতে নিজেকে অনুব্রত মণ্ডল ভাবছেন!’ সিউড়ির বিধায়ককে নিয়ে বিস্ফোরক প্রণব কর

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কর (Suri Municipality Chairman Pranab Kar) হঠাৎ চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর পর থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তার এই পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে ব্যাপক জল ঘোলা হয়। যদিও প্রণব করের বিরুদ্ধে ৬ মাস আগে থেকেই কাউন্সিলরদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। সে সময় প্রণব করের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সিউড়ি পৌরসভার ১৩ জন কাউন্সিলর।

Advertisements

তবে সেই ঘটনায় সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় সহ অন্যান্যরা বৈঠক করে লাগাম টানেন। কিন্তু এরপর হঠাৎ আবার এইভাবে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়াই তৃণমূলের অন্তরে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে এমনই প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সিউড়ি পৌরসভার পদত্যাগের পথে হাঁটা চেয়ারম্যান প্রণব কর।

Advertisements

তিনি এই সকল ঘটনার জন্য সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “কেষ্টদার ছত্রছায়ায় আছি। কেষ্ট দা আমাকে বসিয়েছে বলে ক্ষোভ। একে সরিয়ে আমার গতের কাউকে বসাবো, যাতে আমাকে ফিনান্সিয়াল হেল্প করতে পারবে। যেটা আমি পারবো না। এর আগেও ১৩ জন আমার বিরুদ্ধে বলেছিল। কিন্তু কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।”

Advertisements

এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “জেলা পরিচালনা করার জন্য যে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কোর কমিটির কেউ তাকে বলেন নি পদত্যাগ করতে। বরং বিকাশ রায় চৌধুরী নিজে কোন একজনকে বলেছিলেন আমাকে চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিতে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর টাকা চেয়েছিলেন।” এর পাশাপাশি সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ২০ লক্ষ টাকা এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোন ভাবে পৌরসভা চালাতে সাহায্য করেননি বলেও দাবি করেছেন।

যদিও এই সকল অভিযোগ বিকাশ রায়চৌধুরী অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “আমি তো আর দল পরিচালনা করি না। দল পরিচালনা করার জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে যেখানে সবাই আছেন। সবার একক প্রচেষ্টায় আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি। অনুব্রত মণ্ডল আছে, থাকবে আমাদের মধ্যে।” অন্যদিকে প্রণব করের পাল্টা হিসাবে সিউড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, “উনি কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন না। নিজের সিদ্ধান্তই সব কাজ করছিলেন। যে কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলাম। তবে এখন মানুষের স্বার্থে ওনার পদত্যাগ করা উচিত হয়নি।”

Advertisements