নিজস্ব প্রতিবেদন : শাসক দল তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভাই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগছে তো? অনেকেই ভাবতে পারেন এমনটা আবার হয় নাকি! আবার অনেকেই ভাবতে পারেন হয়তো নতুন কার্যালয় তৈরি করার জন্য এমন পদক্ষেপ। কিন্তু তা নয়। অবৈধ ভাবে নির্মাণের জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এই কার্যালয়। রবিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সিউড়ি পৌরসভার বাসিন্দারা। আর এই ঘটনার সাক্ষী থেকে শহরের বহু বাসিন্দাকেই বলতে শোনা গেল ‘রাজধর্ম একেই বলে’।
সম্প্রতি বীরভূমের সিউড়ি পৌরসভা তরফে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করার জন্য নর্দমার উপরে থাকা অবৈধ নির্মাণ এবং দোকানপাট সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এই কাজ শুরু হয়েছে। আর এই কাজ চলাকালীন রবিবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের পাশে নর্দমার উপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। সিউড়ি পৌরসভা প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা এবং সিউড়ি থানার পুলিশ উপস্থিত থেকে এই কার্যালয় ভেঙে দেয়।
জানা গিয়েছে, আগেই এই কার্যালয়টি ভেঙ্গে দেওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। আর সেই মতো কার্যালয়ের কর্মীরা তাদের জিনিসপত্র আগেই সরিয়ে নিয়েছিলেন। এদিন এই কার্যালয় ভাঙার সময় ওই কার্যালয়ের বহু কর্মী-সমর্থকই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এদিন নর্দমার উপর থাকা আরও একাধিক অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয় পৌরসভার তরফে।
সিউড়ি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা আগেই জানিয়েছিলেন, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েই সিউড়ি পৌরসভা এলাকায় যে সমস্যা রয়েছে তা তারা দ্রুত সমাধান করতে চান। আর এই সমাধানের পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। আগামী দিনেও এমন অভিযান চলবে।
মূলত তারা দাবি করেছেন, শহরের মধ্যে যে সকল নর্দমা রয়েছে তার উপর ব্যবসায়ী এবং অন্যান্যরা কংক্রিটের স্ল্যাব এবং অন্যান্য জিনিসপত্র রেখে সেগুলি অবৈধভাবে দখল করার কারণে এই নর্দমাগুলি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে নর্দমার মধ্য দিয়ে নিকাশি জল পারাপার করা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। এই সকল নর্দমা পুনরুদ্ধার করে নিকাশি ব্যবস্থাকে সচল করাই হল পৌরসভার মূল লক্ষ্য।