Suri Rail Bridge : রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্দেশে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই হাটজনবাজার রেল সেতুর ‘স্টিল গার্ডার’ ঢালা হবে। এই স্টিল গার্ডার ঢালার কাজ শেষ হয়ে গেলেই মার্চ মাসে সিউড়ি-বোলপুরের মাঝে রেল ওভার ব্রিজ বা আরওবি জনগনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই রেল সেতু নির্মাণের কাজ পরি দর্শনে আসেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এবং তারা এসেই এটি ঘোষণা করে।
২০১৭ সালের প্রথম শুরু হয়েছিল সিউড়ি-বোলপুর রাস্তার মাঝে সিউড়ির হাটজনবাজার এলাকার ওভার ব্রিজের কাজ (Suri Rail Bridge)। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আগামী বছরে চালু হতে চলেছে এই সেতুটি। আট বছর ধরে চলছিল এই সেতু নির্মাণের কাজ এবং কোনোভাবেই যা সম্পূর্ণ হচ্ছিল না এত বছরে। জেলাশাসকের উদ্যোগে অবশেষে শেষ হতে চলেছে এই রেল সেতু নির্মাণের কাজ। এমনকি রাজ্য পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে গিয়ে কাজের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে সিউড়ির এই রেল সেতু নির্মাণের কাজকে ঘিরে অনেক বেশি রাজনৈতিক জল ঘোলা হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থা মাঝ পথে কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছে। এই বিষয়ে সংসদে সরব হয়েছেন শতাব্দী রায়।
আরো পড়ুন: শীঘ্রই শেষ হবে এয়ারপোর্ট মেট্রোর কাজ, চলতি বছরেই হবে ট্রায়াল
সিউড়ির এই রেল সেতু নির্মাণের দাবিতে শহর তৃণমূল কংগ্রেস ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি রেল সেতুর নিচে অবস্থানে বসে আছেন। তিনি বলেছেন যে, সিউড়ির এই সেতু (Suri Rail Bridge) এবং বর্ধমানের সেতুর একই সময় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। তাহলে এই সেতু নির্মাণে এত কেন দেরি হল? রেলের হাতে সঠিক সময়ে জমি হস্তান্তর না করার কারণেই এত দেরি হয়েছে এই সেতু নির্মাণে এমনটাই অভিযোগ করেছে বিজেপি। রেলের হাটজনবাজারের ওভারব্রিজের কাজে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো কাজে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্টেশন হাওড়া, যাত্রীদের সুবিধার জন্য নিল অভিনব পদক্ষেপ
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সিউড়ির ভূমিপুত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন এই সেতু নির্মাণে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এখানকার জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতা। একাধিক কারণের জন্যই এত দীর্ঘ সময় লেগে গেল সিউড়ির এই রেল সেতু নির্মাণে। জেলা সদর দপ্তরের উদ্যোগেই সেতু নির্মাণে নতুন ঠিকাদার এনে কাজ শুরু করা হয়েছে। জগন্নাথ বাবু দাবি করেছেন যে পুজোর পর থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের মার্চ মাসেই হয়তো চালু হয়ে যাবে এই সেতু।
শনিবার রেলের ইঞ্জিনিয়ার দফতরের পক্ষ থেকে নির্মাণকার্য পরিদর্শনে লোক পাঠানো হয়েছিল। ৮০০ মিটার লম্বা, সাড়ে সাত মিটার চূড়া সেতুর (Siuri Rail Bridge) ২২টি গার্ডারের মধ্যে ২০ টি গার্ডার বসে গিয়েছে। এখন শুধুমাত্র বাকি রয়েছে রেলের বিদ্যুৎবাহি তারের উপর দিয়ে স্টিল গার্ডার দেওয়ার কাজ। সেই কাজ হয়ে গেলেই রেল সেতুর সংযোগ করে শুধু রাস্তার ঢালাই করে দেওয়া বাকি থাকবে। রেল প্রশাসন যদিও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।