বদলে যাচ্ছে সিউড়ি রেলস্টেশন! নকশা দেখে চিনতেই পারবেন না, জানুন কী কী হতে চলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি হলেও বারংবার এই শহরকে বিভিন্ন দিক দিয়ে বঞ্চিত হতে দেখা গিয়েছে। বারংবার এমনই অভিযোগ তোলেন সিউড়ির বাসিন্দারা। সে রাস্তাঘাট হোক অথবা রেলস্টেশন অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থা। যদিও সাম্প্রতিককালে সিউড়িকে ঘিরে রেলের বেশ কিছু উন্নয়ন নজরে আসছে। ঠিক সেই রকমই এবার অমৃত ভারত স্টেশন (Amrit Bharat Station) প্রকল্পের আওতায় নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সিউড়ি রেলস্টেশনকে (Suri Railway Station)।

সিউড়ি রেলস্টেশনকে কেন্দ্র সরকারের অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় যে রূপ দেওয়া হবে তাতে স্টেশনকে আগামী দিনে চেনা দায় হয়ে পড়বে। বর্তমান স্টেশনটির চেহারা পুরোপুরি ভাবে বদলে যেতে চলেছে। ইতিমধ্যেই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় সিউড়ি রেলস্টেশনে যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের জন্য কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন পরিষেবামূলক সুবিধা প্রদানের জন্য এক নম্বর এবং দুই নম্বর প্লাটফর্মে দুটি লিফটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আগামী দিনে কেমন হতে চলেছে সিউড়ি রেলস্টেশন? স্টেশনের নকশায় সিউড়ির প্রাচীন দামোদর মন্দির, বক্রেশ্বর ধাম এবং হুল বিদ্রোহের ছাপ রাখা হচ্ছে। স্টেশনের প্রবেশ পথগুলির দামোদর মন্দির এবং বক্রেশ্বরের ধাঁচে করা হবে। নকশা একেবারে নকল না করে আদল গ্রহণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে আদিবাসী সমাজ ও হুল বিদ্রোহের নকশা, শক্তিপীঠের প্রভাব, দেবীমূর্তিও থাকবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন দিক দিয়ে পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

রেলের পরিকাঠামোকে আরও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রেলস্টেশনে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক সেই রকমই বীরভূমের সিউড়ি রেলস্টেশন এমন নতুন রূপ পেতে চলেছে। নতুন রূপ কেমন হতে চলেছে সেই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চ্যাটার্জির তরফ থেকে। এছাড়াও সিউড়ি রেলস্টেশনের ঠিক পাশেই সিউড়ি বোলপুর রাস্তার ওপর এবং ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুটি রেল ওভারব্রিজ তৈরির কাজ চলছে।

জগন্নাথ চ্যাটার্জি সিউড়ি রেল স্টেশনের রূপ আগামী দিনে কেমন হতে চলেছে সেই ছবি প্রকাশ করার পাশাপাশি লিখেছেন, এর আগেও একটি খসড়া নকশা তৈরি করা হয়েছিল। তবে সেই নকশা অনেকের পছন্দ না হওয়ার কারণে তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন যে নকশাটি এসেছে সেটি হল চূড়ান্ত নকশা। মানুষের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আগের নকশায় বদল এনে নতুন নকশা করা হয়েছে এবং তা বীরভূম ও সিউড়ির ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই করা হয়েছে।