নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে এখন চলছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াই। তবে ২০২৪ এর এই লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল। এমন প্রস্তুতি নিতে দেখা গিয়েছে মূলত তার একটি বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে। যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি ৫০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে ভোটের সময় ভাতা দেওয়ার ঘোষণা এবং সেই ঘোষণা জনপ্রিয়তা অর্জন করা নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছিল। যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্যের মহিলাদের প্রথম দিকে ৫০০ ও ১০০০ টাকা দেওয়া হতো, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০০ ও ১২০০ টাকা। আর এবার এই টাকার অংককে ছাপিয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণা।
বিজেপির তরফ থেকে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের হরিপুরে বুথ ভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে এমন ঘোষণা করতে দেখা যায়। শুভেন্দু অধিকারী এই ভাতা সংগ্রামী ভাতা (Sangrami Allowance) হিসাবে উল্লেখ করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে এই ভাতা দেওয়া হবে। তবে এই টাকা সবাই পাবেন না।
শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণা অনুযায়ী, যে সকল বিজেপি কর্মীরা বিজেপি করার জন্য মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন তাদের এই টাকা দেওয়া হবে। তার কথায়, যতজনকে জেল খাটিয়েছে, বিজেপি সরকারে এলেই তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে সম্মানিক দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি পুলিশদের উদ্দেশ্য করেও কড়া বার্তা দেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘যে সকল তদন্তকারী অফিসাররা মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছেন তাদের সকলের নাম লেখা থাকলো।’
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর এমন প্রতিশ্রুতি ও ঘোষণাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের তরফ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ঘোষণা ঘোষণাই থেকে যাবে। কেননা তারা কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেনা আর এই টাকা দিতে পারবে না। সুতরাং যারা এমন টাকা পাওয়ার আশায় বসে রয়েছেন তাদের আজীবন আশায় বসে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন এমন প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বলেও দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।