নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিভিন্ন সময় রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকারকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা যায়। ছুঁড়ে দেওয়া সেই সকল চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে জয় হাসিল করতে হয় তা বহু ক্ষেত্রেই তিনি দেখিয়েছেন। তবে এসবের মধ্যে এবার তিনি এমন এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন যা নিয়ে রীতিমত বিস্মিত রাজনৈতিক মহল। কেননা এবার তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যদি একটি কাজ করতে না পারেন।
এর আগেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছিলেন রাজনীতি ছেড়ে দেবেন যদি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) হারাতে না পারে। সেই চ্যালেঞ্জ ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু একজন মুখ্যমন্ত্রী নন, পাশাপাশি তিনি রাজ্য এবং দেশের অন্যতম একজন জনপ্রিয় নেত্রী। তবে সেই চ্যালেঞ্জে জয় পান শুভেন্দু অধিকারী। সত্যিই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভা নির্বাচনে হারিয়ে দিয়েছিলেন।
একইভাবে তিনি এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে শাসক দল তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। শুধু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া নয়, পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যদি তিনি সেই চ্যালেঞ্জে সফল হতে না পারেন তাহলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য নিয়েই এখন শোরগোল করে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে।
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী এই ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার সময় বলেন, ‘তৃণমূল টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর খেলা খেলে চলেছে। তবে কিভাবে খেলতে হয় তা আমার জানা আছে।’ আর এই কথা প্রসঙ্গেই উঠে আসে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠে আসতেই শুভেন্দু অধিকারীকে এমন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা যায়।
শুভেন্দু অধিকারী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, “আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৩ লাখের বেশি এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ২ লাখের বেশি ভোট বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে না পারি, মোদীজির হাতে তুলে দিতে না পারি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”