নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সম্পত্তির হিসেব নিকেশ সম্পর্কিত হলফনামা জমা দিতে হয়। আর তা জমা দেওয়ার পরই প্রকাশ্যে এলো তার সম্পত্তির পরিমাণ।
শুভেন্দু অধিকারী একসময় তৃণমূলের টিকিটে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি সাংসদ ছিলেন, পরে ২০১৬ সালের বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হন এবং দীর্ঘ বছর ধরে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। পরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২০ সালের শেষের দিকে দলের সাথে বনিবনা হাওয়াই দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।
তবে দীর্ঘদিনের এই জনপ্রতিনিধির সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আসার পর তা জনসাধারণকে বিস্মিত করেছে। কারণ তিনি যে হলফনামা পেশ করেছেন তাতে তার নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই বলেই উল্লেখ করেছেন এবং মোট সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করেছেন মাত্র ৮০ লক্ষ টাকা। যেখানে ভারতের মতো দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রতিনিয়ত গুণিতক আকারে বাড়ছে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর এই স্বল্প পরিমাণ সম্পত্তি স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত করার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর তুলনায় কয়েকগুণ কম।
২০২১ সালের হলফনামা অনুযায়ী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে নগদ রয়েছে মাত্র ৫০০০ টাকা। নিজের নামে কোন গাড়ি অথবা গয়না নেই। শুভেন্দু অধিকারী মোট ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২১ লক্ষ ৩৫ হাজার ১০২ টাকা এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪৭.৩২ টাকা। নন্দীগ্রামের গাংরা সহ কিছু এলাকায় তার নামে কিছু জমি রয়েছে।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী যখন ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন পত্রের সাথে হলফনামা জমা দেন তখন তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মোট ৬৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৬৭ টাকা। ঠিক দুবছর পর যখন বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নামেন সেই সময় মনোনয়নপত্রের সাথে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাতে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করা ছিল মোট ৬২ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৪২ টাকা। অর্থাৎ সম্পত্তির পরিমাণ কমে গিয়েছিল। আর ২০২১ সালের মনোনয়নপত্র জমা করা হলফনামা অনুযায়ী কিছুটা হলেও মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে, তবে দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি এবং পাঁচ বছরের মন্ত্রীর এই স্বল্প সম্পত্তি সত্যিই নজির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।