আক্রান্ত সাঁইথিয়ার বিজেপি প্রার্থী, পুলিশ সুপারকে ক্লোজের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী

Himadri Mondal

Updated on:

Advertisements

হিমাদ্রি মন্ডল : বীরভূমের ভোটের আগে প্রচারে বেরিয়ে একের পর এক প্রার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এই তালিকায় বেশিরভাগ আক্রান্ত প্রার্থীরা রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের। শনিবার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে সাঁইথিয়া বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহার ক্ষেত্রে।

Advertisements

এদিন তিনি সাঁইথিয়া বিধানসভার পুরন্দরপুর এলাকায় প্রচারে বের হন। সেখানে কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার সেরে গ্রামে ফেরার সময় তার গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ইঁট ছোঁড়ে। ঘটনায় তার গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। পাশাপাশি তিনি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার অভিযোগ, স্পর্শকাতর এলাকায় মাত্র তিনজন পুলিশ দেওয়া হয়েছিল নিরাপত্তার জন্য।

Advertisements

আর এই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সিউড়ি থানার সামনে ধর্ণায়। পরবর্তীকালে সেই ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন এবং প্রচারে এসে এমন আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে তিনি সাঁইথিয়া বিধানসভার প্রার্থী পাশে দাঁড়িয়ে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার দাবি তুলেছেন।

Advertisements

শুভেন্দু অধিকারী এদিন ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অবিলম্বে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারকে ক্লোজ করার দাবি তুললেন। পাশাপাশি তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই তাকে কটাক্ষ করে বলেন, “৬৬ বছরের কোন মেয়ে হয় না। মাসি হয়, পিসি হয়। তবে বাংলার ৬৬ বছরের স্বঘোষিত মেয়ের কাছে আমি একটি প্রশ্ন করবো সাঁইথিয়ার এই প্রার্থী উনি কি বাংলার মেয়ে নন?”

[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি তিনি নাম না করেই অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “বীরভূম জেলার এক অলিখিত স্থানীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখনো বীরভূম জেলার পুলিশ কাজ করছে। বীরভূমই একমাত্র জেলা যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির পাঁচজন প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন। আর সমস্ত সীমিত হয়েছে একজন মহিলা প্রার্থীর গাড়িতে ইঁট ছোঁড়া হয়, বোমা মারা হয়। অথচ পুলিশ বলছে এফআইআর দিন, তদন্ত করবো, গতানুগতিক কথাবার্তা। আমরা ইলেকশন কমিশনকে বলতে চাই অবিলম্বে এই জেলার পুলিশ সুপারকে ক্লোজ করে দেওয়া হোক। পাশাপাশি এই জেলার অলক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী, যার কথায় পুলিশ চলছে, তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা করা হোক।”

Advertisements