নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় শনিবার বিজেপি ছাড়ার ঘোষণার পাশাপাশি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন। ফেসবুকে একটি খোলা চিঠি লিখে তিনি এই ঘোষণা করতেই বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। আর তার এই রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পরেই বিজেপিকে একহাত নিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
একাধিকবার ভোটের আগে বাবুল সুপ্রিয় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে টিভির পর্দায় সরাসরি তর্কে বিতর্কে জড়াতে লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক এতটাই জড়িয়েছে যে একে অপরকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তবে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এবং সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার অঙ্গীকার করার পরেই অনুব্রত মণ্ডল বাবুল সুপ্রিয়কে ভালো ছেলে বলে আখ্যা দিলেন। পাশাপাশি তিনি এই দল ছাড়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের বলেন, “দেখুন বাবুল সুপ্রিয় একটা মন্ত্রী ছিল। পশ্চিমবঙ্গের একটা মন্ত্রী ছিল বিজেপির। কর্মী হিসাবে খারাপ ছিল না। স্বাভাবিক দুঃখ পেয়েছে মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়াতে। আমি জানিনা বিজেপির কি রাজনীতি? কেন মন্ত্রিত্বতা কেড়ে নিলেন? ছেলে হিসাবে তো খারাপ নয়। খবরে শুনছি সাংসদ পদ ছেড়ে দেবে। এখনো ছাড়ে নাই। ছাড়লে অনেক কথা বলার আছে। বলবো তখন। ছাড়লে বলবো। এখনো তো ছাড়ে নাই, ছাড়ুক।”
বিজেপি থেকে একের পর এক নেতারা চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে অনুব্রত মণ্ডল শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “সব শুভেন্দুর জন্যে। ওই একজনার জন্য সবাই চলে যাচ্ছে। শুভেন্দু এখানে ১০ বছর খেলো, দেলো, মাখলো, পড়াশোনা করলো, লেখাপড়া করলে তারপরে এই দলের বদনামের জন্যে, ওই জন্যে ওরা বুঝে গেল। ওরা বুঝলো যে ওই দলেই খেয়ে এলো আর ওই দলেরই বদনাম করছে।”
এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল বাবুল সুপ্রিয়কে কিছুই দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন। তার কথায় প্রথম থেকে ওই দলে আছে, কিন্তু কিছুই দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে আসতে চাইলে তাকে নেওয়া নিয়ে জল্পনাও জাগিয়ে রাখলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি তো আর কলকাতার লিডার নই। নেত্রী বসে আছে কলকাতায়। ওরা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি গ্রামের ছেলে, চাষির ছেলে, আমার অত বড় বুদ্ধি আছে না, অত বড় মাথা আছে?”