নিজস্ব প্রতিবেদন : রাস্তায় জমে থাকা জলে কুকুর ও ইঁদুরের প্রস্রাব মিশে ছড়াচ্ছে মারণ রোগ। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে জারি করা একটি নির্দেশিকায়। পায়ের পেশি অসাড় হয়ে যাওয়া, চোখ টকটকে লাল হয়ে যাওয়া, ঘাড় নড়াচড়া করতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে লেপটোস্পাইরোসিস -এর মত মারণ রোগের আতঙ্ক।
করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের মাঝেই এবার এই লেপটোস্পাইরোসিস নিয়ে সর্তকতা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই এই অ্যাডভাইজারি প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তবে আশার আলো এই মুহূর্তে এই রোগ মাথাচাড়া দেয় নি। তবে মাথাচাড়া না দিলেও রাজ্যের অনেক জায়গায় এর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যে কারনেই সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, লেপটোস্পাইরোসিস এই রোগে মৃত্যুহার যথেষ্ট। যে কারণে কোনো রকম ঢিলেমি ভাবনা করে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করার পথেই হাঁটতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, এই রোগ মূলত চারপায়েদের থেকে ছড়ায়। লেপটোস্পাইরা নামে এক ধরনের স্পাইরাল ব্যাকটেরিয়ার দেখা মেলে কুকুর, ইঁদুর কিংবা গবাদিপশুর শরীরে। আর তা থেকেই ছড়ায় এই মারণ রোগ।
যেসকল পশুরা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাদের প্রস্রাবে এই ধরনের ভাইরাস থিকথিক করে। আর তা মানুষের শরীরের সংস্পর্শে এলেই বিপদ। পশু এবং যে সকল এলাকায় ইঁদুরের উৎপাত বেশি সেই সকল জায়গায় এই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। কারণ পশুদের অথবা ইঁদুরের ওই প্রস্রাব মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়াতে পারে।
বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া এই রোগ ছড়ানোর অনুকূল পরিবেশ। পশুদের প্রস্রাব মারিয়ে আসার পর এই রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে ৫-১৪ দিনের পর। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার এক মাস সময়ও লেগে যায়। এই রোগের উপসর্গ হিসেবে লক্ষ্য করা যায় চোখ লাল হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, আচমকা জন্ডিস, তলপেটে ব্যাথা।