লকডাউনে খোলা থাকবে মিষ্টির দোকান, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত। আর এই লকডাউনের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া আর বাকি সব দোকানপাট বন্ধ। আর এই বন্ধ দোকানপাটের তালিকায় রয়েছে মিষ্টির দোকানও। তবে খাদ্য রসিক বাঙ্গালীদের এবার মিষ্টি নিয়ে এলো সুখবর। নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে খোলা থাকবে মিষ্টির দোকান।এমনটাই সোমবার ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মিষ্টির দোকান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। সম্প্রতি আমরা দেখেছি মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় লিটারের পর লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দুধ বিক্রেতাদের করুণ অবস্থা শুরু হয়। অনেক জায়গাতেই লক্ষ্য করা যায় দুধ পুকুরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। দুধের একটা বড় অংশ ছানা তৈরির কাজে লাগে। আর সেই সকল ছানা সাপ্লাই হয় মিষ্টির দোকানে দোকানে। আর মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় সেই ছানা সাপ্লাই বন্ধ। সোমবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিষ্টির দোকান খোলা থাকলে দুধ নষ্ট হবে না। তবে সারাদিন নয়, ঘন্টা চারেকের জন্য মিষ্টি দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্নের বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “পাড়ায় পাড়ায় যে সকল মিষ্টির দোকানগুলি রয়েছে সেগুলি দুপুর ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর ফলে দুধ বিক্রেতাদের দুধ নষ্ট হবে না। পাশাপাশি বাচ্চাদের দুধের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে তার দিকে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।”

প্রসঙ্গত, লকডাউনের শেষ দিন অর্থাৎ ১৪ ই এপ্রিল রয়েছে বাংলা নববর্ষ। আর এই নববর্ষ যাতে বাঙালিদের কাছে মাটি হয়ে না যায় তার দিকেও নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আলোচনা করে যেটুকু জানা গেছে তাতে আগামী দু সপ্তাহ খুব সেনসিটিভ। আবার লকডাউনের মাঝেই রয়েছে নববর্ষ। ঐদিন কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে সেই বিষয়ে আমরা তার আগের দিনে আলোচনা করবো।”