বদলে গেল সুইগির অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার নিয়ম! এবার খসবে বাড়তি টাকা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : অধিকাংশ মানুষ যারা অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে থাকেন তাদের প্রায় অধিকাংশই সুইগি (Swiggy) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন। বাড়িতে বসে গরম গরম খাবার পাওয়ার জন্য এই প্লাটফর্ম এখন বহু মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। তবে এবার এই প্ল্যাটফর্মের তরফ থেকে নিয়মে এমন বদল আনা হলো যার ফলে বাড়তি টাকা খসবে গ্রাহকদের পকেট থেকে। সুইগীর এই নিয়মের পরিবর্তন আনার ফলে রীতিমতো চিন্তায় গ্রাহকরা।

বর্তমান যুগে এখন অধিকাংশ মানুষই বাড়িতে বসে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে চাইছেন। এই ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে করোনার সময় থেকে। সেই সময় বাড়ি থেকে বেরোনোর সাহস অনেকেই পেতেন না। যে কারণে তারা এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দিয়ে আনা শুরু করেন। আর এখন সেই অভ্যাস তারা ত্যাগ করতে পারেননি। ফলে দিন দিন এই সকল প্লাটফর্মের চাহিদা বেড়ে চলেছে।

বর্তমানে দেশের বড় বড় শহর ছাড়িয়ে ছোট ছোট শহরেও এই ধরনের ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলির জাল বিস্তার হয়েছে। বহু মানুষ রয়েছেন যারা এই সকল প্লাটফর্মের উপর রীতিমত নির্ভর করেই জীবনযাপন করছেন। তবে মানুষের এমন নির্ভরশীলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে চার্জ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা তাতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এবার এই তালিকায় নাম উঠলো জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগির।

সুইগির চার্জ বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, আগে যেখানে তারা দু’টাকা করে ফি নিতো, এখন সেই জায়গায় এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন সংস্থার তরফ থেকে ৩ টাকা করে ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে গত ৪ অক্টোবর এমন ফি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়। আগে বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদে এমন ফি বৃদ্ধি করা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা সারা দেশেই কার্যকর করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে এই সংস্থার বিকল্প সংস্থা হিসাবে জোমাটো অধিকাংশ শহরেই ২ টাকা করে ফি নিলেও তারাও বেশ কিছু শহরে ৩ টাকা ফি নিচ্ছে বলে সূত্র জানা যাচ্ছে। এখন যদি দুই সংস্থায় এইভাবে ফি বৃদ্ধি করার পথে হাঁটে তাহলে গ্রাহকদের পকেট থেকে বাড়তি টাকা খসবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এর থেকেও বড় বিষয় হলো সুইগীতে বর্তমানে প্ল্যাটফর্ম ফি হলো পাঁচ টাকা। সংস্থার তরফ থেকে এর উপর দুই টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে, যে কারণে খরচ পড়ে তিন টাকা। কিন্তু যদি সেই ছাড় তুলে দেওয়া হয় তাহলে খরচ দাঁড়াবে পাঁচ টাকা।