বজ্রপাতের সময় ৯টি সতর্কতা মানলে বাঁচবে প্রাণ

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে চলেছে বজ্রবিদ্যুৎ। তবে এই বজ্রবিদ্যুৎ বেড়ে চলার কারণ কি রয়েছে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যেই গত সোমবার হুগলির ১১ জন এবং মুর্শিদাবাদের ৯ জন সহ ২৬ জন বজ্রপাতের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর মঙ্গলবারও বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন বীরভূমের এক ব্যক্তি। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি সর্তকতা অবলম্বন বাঁচাতে পারে আমাদের প্রাণ।

Advertisements

১) ঘন ঘন বজ্রপাত হলে কোনোভাবেই ফাঁকা জায়গায় অথবা উঁচু জায়গায় থাকা যাবে না। সব থেকে নিরাপদ আশ্রয় হলো পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নেওয়া।

Advertisements

২) উঁচু গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি, খোলা জায়গায় যাত্রী ছাউনি ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে বজ্রপাতের সময়। কারণ এগুলিতে বজ্রপাতের খুব সম্ভাবনা থাকে।

Advertisements

৩) বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতর থাকলে সেই গাড়িটিকে চেষ্টা করতে হবে কোন কংক্রিটের নিচে নিয়ে যাওয়ার। যদি সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে গাড়ির কোন ধাতব বস্তু অথবা কাঁচে হাত দেওয়া যাবে না।

৪) বজ্রপাতের সময় মাঠে বা ধানক্ষেতে কর্মরত অবস্থায় থাকলে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি নিরাপদ স্থানে অর্থাৎ কংক্রিটের বাড়ি রয়েছে এমন জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। কোনভাবেই গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না।

৫) বাড়ির মধ্যে থাকলেও বজ্রপাতের সময় কোন রকম ধাতব বস্তু যেমন ধাতব জলের কল, সিড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি এই সময় ল্যান্ডফোন ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

৬) বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র যেমন টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদিতে হাত দেওয়া যাবে না। বরং এই সকল বস্তুর বিদ্যুৎ সংযোগ আগেই বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।

৭) বজ্রপাতের সময় কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসতে হবে। চোখ বন্ধ রাখতে হবে। তবে মাটিতে শুয়ে পড়া চলবে না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৮) বজ্রপাতের সময় ছোট হোক অথবা বড় পুকুর থেকে দূরে থাকতে হবে। জল খুবই বিদ্যুৎ পরিবাহী।

৯) বজ্রপাতের সময় বাড়ির মধ্যে থাকলেও জানালা থেকে দূরে থাকতে হবে।

Advertisements